আসন্ন রমজানকে ঘিরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে বিশেষ কোটা চান ব্যবসায়ীরা
চলমান ডলার সংকটের মধ্যে রমজানের আগে নিয়মিত সরবরাহ নিশ্চিত করতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে বিশেষ কোটা চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এ প্রস্তাব করা হয়।
আমদানিতে আরোপিত বিভিন্ন শর্তের কারণে প্রয়োজনীয় পণ্যের লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান সমস্যার উল্লেখ করে ব্যবসায়ীরা বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের উপস্থিতিতে তাদের প্রস্তাব তুলে ধরেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, প্রস্তাবটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে পর্যালোচনা করা হবে।
তিনি বলেন, "রমজানে যেন কোনো সরবরাহ সংকট না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ৬ পণ্য- ভোজ্যতেল, ছোলা, মসুর ডাল, পেঁয়াজ, চিনি এবং খেজুর মজুতের ব্যবস্থা করা হবে।"
অন্যান্য পণ্যের তুলনায় চিনির দাম কিছুটা বেশি উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, "আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চিনির ওপর ডিউটি কমানোর জন্য একটি চিঠি পাঠানো হবে।"
রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে এবং সরবরাহ পর্যাপ্ত রাখতে আমদানি এলসির বিপরীতে নগদ মার্জিন হারের শিথিলায়ন গুরুত্বপূর্ণ।
বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ কমাতে আমদানি সীমিত করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এলসি সেটেলমেন্টের জন্য ওপেনিং মার্জিন রেট ১০০% থেকে ৭৫% নির্ধারণ করে।
এর আগে আটটি আবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য, যথা- ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মশলা, চিনি এবং খেজুরের জন্য বাকিতে আমদানির সুযোগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।