দ্বিতীয় প্রান্তিকে ওয়ালটনের মুনাফা কমেছে ৬৩.৪১%
ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, কাঁচামাল-ফ্রেইটের মূল্যবৃদ্ধি ও চলমান বৈশ্বিক সংকটসহ বেশ কয়েকটি কারণে দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক ও প্রযুক্তিগত কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের মুনাফা ৬৩.৪১ শতাংশ কমেছে।
২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এ কোম্পানির আয় ছিল ১,১০৮ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১,৪৩২ কোটি টাকা।
একই সময়ে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা ৬৩.৪১% কমে ৬০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা হয়েছে।
উল্লেখ্য সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় ২ টাকা, যা এক বছর আগে ছিল ৫ টাকা ৪৫ পয়সা।
ওয়ালটন জানিয়েছে, মূলত মহামারি, মহামারি-পরবর্তী সময়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং বৈশ্বিক অর্থায়ন সংকটে পড়ায় তাদের আয় কমে এসেছে।
এছাড়া, রেফ্রিজারেটর পণ্য সরবরাহে ভ্যাট আরোপ করার ফলেও আয় কমেছে।
এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ওয়ালটনের লোকসান ছিল ৪৬ কোটি টাকা, একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় কমে আসে ১ টাকা ৫২ পয়সায়।
২০০৮ সালে ইলেকট্রনিক্স এবং হোম অ্যাপ্লায়েন্স মার্কেটে যাত্রা শুরু করে ওয়ালটন। এ খাত সেসময় আমদানি নির্ভর ছিল।
বর্তমানে এই বাজারের ৭২ শতাংশের শেয়ার রয়েছে ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের।
এছাড়া কোম্পানিটি টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনার, সিলিং ফ্যান, এলইডি লাইট এবং হোম অ্যাপ্লায়েন্স সেক্টরেও ভালো করছে।
২০১১ সালে রেফ্রিজারেটর রপ্তানি শুরু করে ওয়ালটন। ইউরোপীয়, এশিয়ান ও আফ্রিকান দেশগুলোতে রেফ্রিজারেটর, মোবাইল ফোন, কম্প্রেসার এবং টেলিভিশনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য রপ্তানি করে তারা।