পোশাক কারখানা মালিকরা কেন মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে যেতে চাইছেন না
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে দেশের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুযোগ-সুবিধা দিয়ে দ্রুত উৎপাদনে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। কিছু কারখানা এরমধ্যেই সেখানে উৎপাদন শুরুও করেছে। কিন্তু, পোশাক কারখানা স্থাপনের জন্য যারা প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন, তারা শিল্পাঞ্চল উৎপাদন কাজের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত নয় বলে মনে করছেন এবং কারখানা স্থাপনকে এড়িয়ে চলছেন।
মিরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে ৫০০ একর জমিতে গার্মেন্টস ভিলেজ গড়ে তুলতে ২০১৮ সালের মার্চে দেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন- বিজিএমইএ'র সাথে একটি চুক্তি করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। এপর্যন্ত নির্ধারিত ৫০০ একরের মধ্যে ৪১টি পোশাক কারখানা ২৩৯ একর জমি লিজ নিয়েছে।
কিন্তু তাদের কেউই সেখানে উৎপাদন ইউনিট স্থাপনে আগ্রহ দেখায়নি। বরং লিজ নেওয়া উদ্যোক্তাদের কেউ কেউ তাদের প্রাথমিক পরিকল্পনা পরিবর্তন করে জমিতে করা বিনিয়োগ প্রত্যাহার করেছেন।
শিল্প মালিকরা বলছেন, সেখানে প্রয়োজনীয় ইউটিলিটির (গ্যাস,বিদ্যুৎ, পানির) ব্যবস্থা হয়নি। বিনিয়োগের উপযুক্ত হতে সড়কসহ দরকারি যেসব অবকাঠামো দরকার, সেগুলোর নির্মাণ কাজের অগ্রগতিও সন্তোষজনক নয়।
বিজিএমইএ ছাড়া পোশাক মালিকদের অপর শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) এর সাথেও প্রায় চার বছর আগে একই ধরনের একটি চুক্তি করে বেজা। এক্ষেত্রেও কারখানা মালিকরা আসার আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
বিজিএমইএ'র সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "এখনো পর্যন্ত আমাদের জন্য তেমন কোন ফ্যাসিলিটি তৈরি হয়নি। জমি এখনো রাস্তার লেভেল থেকে প্রায় ৬ ফিট নিচে। গ্যাস-বিদ্যুতের ব্যবস্থা হয়নি। শ্রমিক কোথায় থাকবে, কীভাবে যাতায়াত করবে– তারও ব্যবস্থা হয়নি।'
অর্থনৈতিক এ অঞ্চলে বিনিয়োগকারী ৪১ উদ্যোক্তার মধ্যে একজন হচ্ছেন বিজিএমইএ'র সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম। তিনি টিবিএসকে বলেন, "বৈশ্বিক বিভিন্ন পরিস্থিতি – করোনা, ইউক্রেন যুদ্ধসহ বেশকিছু কারণে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। আমাদের ভাবতে হচ্ছে, ভবিষ্যতে কী হবে – কিন্তু, ভরসা পাচ্ছি না। ফলে অনেকেই কারখানা স্থানান্তর বা নতুন করে সেখানে বিনিয়োগে যাবে কি-না ভাবছে।"
বিকেএমইএ'র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, "আমাদের সংগঠনের সক্রিয় সদস্য সংখ্যা ৮০০। বেজার সাথে সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর আমরা উদ্যোক্তাদের থেকে তেমনভাবে সাড়া পায়নি। এপর্যন্ত মাত্র ১০টি আবেদন জমা পেয়েছি।"
এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, " সেখানে অবকাঠামো নির্মাণকাজের গতি খুবই মন্থর। এখনও টাউনশিপ গড়ে ওঠেনি, তাই শ্রমিক এভেইলেবল হবে কি-না, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।"
এমন পরিস্থিতির মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরবর্তী বৈশ্বিক অর্থনৈতিক গতিমন্থরতায় পোশাকের রপ্তানি কমে যাওয়া এবং নতুন করে রাজনৈতিক ও শ্রম অসন্তোষ – মিরসরাইয়ের অর্থনৈতিক অঞ্চলে কারখানা স্থানান্তর প্রক্রিয়াকে আরো পিছিয়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন শিল্পের অভ্যন্তরীণরা।
তবে এই অঞ্চল গড়ে তোলার দায়িত্বে থাকা বেজা কর্তৃপক্ষ উদ্যোক্তাদের অভিযোগের সঙ্গে একমত নন। তারা বলছেন, মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী গার্মেন্ট ভিলেজ অংশটির ভূমি এমনভাবে গড়ে তোলা হয়েছে, যাতে উদ্যোক্তারা সেখানে নির্মাণকাজ শুরু করতে পারেন। কারখানা নির্মাণের পর সেখানে প্রাথমিকভাবে উৎপাদন শুরুর মতো গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভবিষ্যৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার কাজ চলছে।
বেজার প্রকল্প পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ফারুক বলেন, "অন্যান্য খাতের পাঁচটি শিল্প প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে সেখানে উৎপাদন শুরু করেছে। আরো ২২টি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলটি উপযোগী নাহলে তারা কীভাবে অবকাঠামো তৈরি করে উৎপাদন শুরু করছে?"
বিজিএমইএ'র অভিযোগগুলোর বিষয়ে তিনি টিবিএসকে বলেন, "শ্রমিকদের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চলটির বাইরে আবাস নির্মাণের পরিকল্পনা আছে আমাদের।"
পরস্পর-বিরোধী বক্তব্য
এদিকে পোশাক শিল্প মালিকরা যেসব কারণে এ শিল্পাঞ্চলে কারখানা স্থাপনে আগ্রহী হচ্ছেন না সেগুলো সম্পর্কে জানিয়েছেন।
বিজিএমইএ'র সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, "এই সময়ের মধ্যে নির্মাণ উপকরণের দাম অনেকটা বেড়ে গেছে। অনেক (গার্মেন্টস কারখানা মালিক তাদের লিজের) টাকা ফেরত নিয়ে গেছে" – বলেন তিনি।
ওই শিল্প নগরে বিজিএমইএ'র বাইরে আলাদা ৫০ একর জমি লিজ নিয়েছেন এমন একজন উদ্যোক্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে টিবিএসকে বলেন, "সেখানে জমি লিজ নেওয়ার সময় ভ্যাট থাকার কথা ছিল না। এখন কর্তৃপক্ষ বলছে, ভ্যাট দিতে হবে। বিদ্যুতের বিলও বেশি, লোকজন থাকার জায়গা নেই।"
অবশ্য বেজা কর্তৃপক্ষ উদ্যোক্তাদের অভিযোগের সঙ্গে একমত নন। বরং তারা বলছেন, জমি/ প্লট লিজ নিয়ে যদি শিল্প না তৈরি করেন, তাহলে তাদের লিজ বাতিল করে দেওয়া উচিত। আগ্রহী অন্য শিল্পোদ্যোক্তাদের তখন এসব জমি দেওয়া যাবে।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন টিবিএসকে বলেন, তাদের (পোশাক শিল্প মালিকদের) জমির লোকেশন সবচেয়ে ভালো। ইচ্ছে করলে রাস্তার পাশে তাদের প্লটগুলোতে তারা এখনই কারখানা ভবন নির্মাণ করতে পারেন।"
বেজার প্রকল্প পরিচালক মনে করেন জমি লিজ নেওয়া পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের মধ্যে উৎসাহের অভাব আছে। আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ফারুক বলেন, "তাদের উৎসাহ নেই। সেজন্যই তারা বিভিন্ন কারণ দেখাচ্ছেন। আগ্রহ থাকলে সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের কাছে আসতো।"
এ ছাড়া কোন উদ্যোক্তা লিজ বাতিল করে টাকা ফেরত নিচ্ছেন কি-না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, 'দুই-একজন মালিক তাদের নিজেদের মধ্যেই জমি পরিবর্তন করেছে। আমাদের কোন টাকা ফেরত দিতে হয়নি।
তবে তিনি আশাবাদী, আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চলটি পুরোদমে চালু হলে তারা (উদ্যোক্তারা) আগ্রহ দেখাবেন।
বেজার নির্বাহী প্রধান ব্যাখ্যা করেন যে, আমরা কতটুকু মাটি ভরাট করবো সেটা আমাদের মাষ্টার প্ল্যানে আছে। পোশাক শিল্প মালিকদের লিজ নেওয়া জমির পাশে আমরা রাস্তা করে দিয়েছি। "এখন তাদের কেউ কেউ (পোশাক শিল্প মালিক) আমাদের বলে রাস্তার সমান মাটি উঁচু করে দিতে হবে। সেটাতো হয় না। এখন যদি তাদের জমি রাস্তা সমান উঁচু করে দেই, তাহলে অন্য বিনিয়োগকারীদের কী হবে?"
গত দুই দশক ধরে পোশাক শিল্পের জন্য আলাদা জোনের কথা ঘুরেফিরে আলোচনায় এসেছে। গার্মেন্ট ভিলেজ করার জন্য ২০১৫ সালে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়ায় জমি নেওয়ার পরও তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি পোশাক শিল্প মালিকরা।
অথচ বিভিন্ন জেলায় এলোমেলোভাবে গড়ে ওঠা পোশাক পোশাক শিল্পগুলোকে একটি সুপরিকল্পিত নির্দিষ্ট শিল্পাঞ্চলে আনার উদ্যোগও দৃশ্যত কাজে আসছে না।
মিরসরাইয়ের গার্মেন্ট ভিলেজে ২০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ আসার এবং পাঁচ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রত্যাশা করা হয়েছে।
বর্জ্য শোধনাগারের জন্য সেন্ট্রাল ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (সিইটিপি)-সহ সব ধরনের অবকাঠামোর সুবিধা-সম্বলিত একটি বিশ্বমানের শিল্পমানের শিল্পাঞ্চল আশা করে প্রথমদিকে পোশাক শিল্প মালিকরা এই উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবেই নিয়েছিলেন।
ইতঃপূর্বে বিজিএমইএ তাদের সদস্যদের জমি লিজ নেওয়ার ২০৯ কোটি টাকাও দেয় বেজাকে। এরপর ভৌত-কাজের উপযোগী প্লট তৈরি করা হবে– এমনটাই দেখার অপেক্ষা করছিল।
ঠিক দুই বছর আগে, টিবিএসের একটি প্রতিবেদনে বেজার নির্বাহী প্রধানকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছিল যে, উদ্যোক্তাদের ১২০ ফুট রাস্তার পাশে জোন ২বি-তে অবস্থিত তাদের প্লটে ভৌত নির্মাণ শুরু করতে বলা হয়েছে। কিন্তু, পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা মনে করছেন, প্লটগুলো উপযুক্ত নয়। ফলে নির্মাণ কাজও শুরু হয়নি।
উৎপাদনে যাওয়া কারখানাগুলোর শ্রমিক পরিবহনের অবস্থা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে উৎপাদন শুরু করেছে এমন কারখানার উদ্যোক্তারা টিবিএসকে বলেছেন যে তাদের শ্রমিকদের একটি অংশ বর্তমানে মিরসরাই বা আশেপাশের এলাকায় বসবাস করে, যা শিল্পনগর থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এসব শ্রমিকদের তাদের নিজস্ব ব্যবস্থায় পরিবহন করা হয়।
এই শিল্পাঞ্চলে একটি কারখানা রয়েছে মডার্ন সিনটেক্স লিমিটেডের। এ কারখানায় কাজ করে ৪৫০ জন শ্রমিক। প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ম্যানেজার সফল বড়ুয়া বলেন, "আমাদের বেশিরভাগ শ্রমিক মিরসরাই টাউনের আশেপাশে থাকে। আমাদের নিজস্ব পরিবহনে, নিজ খরচে তাদের আনা-নেওয়া করতে হচ্ছে।"
তিনি বলেন, অন্যান্য রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড)-ও এভাবে শ্রমিকদের পরিবহনের ব্যবস্থা আছে, পরিবহন খরচ না লাগায়, এতে শ্রমিকরা কিছুটা উপকৃতও হন।
আরেকটি প্রতিষ্ঠান ম্যাকডোনাল্ড স্টিল বিল্ডিং প্রোডাক্টস লিমিটেডের কর্মকর্তারা জানান, তাদের নিজস্ব গাড়িতে ২০০ শ্রমিক পরিবহন করা হয়। বাকি ২০০ জন শ্রমিকের থাকার জন্য কারখানার কাছে একটি ডরমিটরি নির্মাণ করা হয়েছে।
সিইটিপি স্থাপন নিয়ে মতপার্থক্য
জানা গেছে, বেজা কর্তৃপক্ষ বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরের সকল কারখানার জন্য বিশ্বমানের সেন্ট্রাল ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (সিইটিপি) স্থাপন করতে চাইলেও, পোশাক শিল্প মালিকরা এই ব্যবস্থার অংশ হতে চান না।
একজন কর্মকর্তার মতে, পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্প মালিকরা তাদের নিজস্বভাবে ইটিপি প্রতিষ্ঠা করতে চান।
শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, 'তারা নিজস্ব ইটিপি স্থাপন করলে আমাদের কোন সমস্যা নেই। কিন্তু, অবশ্যই তাদের আমাদের সিইটিপিতে যুক্ত হতে হবে, কারণ ভবিষ্যতে এখানে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি হবে। এখানে গ্রিন রেজিলিয়েন্স আছে কি-না, বিদেশিরা তখন সে প্রশ্ন তুলবে। এজন্য আমরা তাদেরকে সিইটিপিতে যুক্ত হতে বলেছি।'
সিইটিপি'র বিল নিয়ে উদ্যোক্তাদের উদ্বেগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'তারা যদি নিজেদের কারখানা থেকে বর্জ নির্গমন শূন্যে রাখতে পারেন, তাহলে তাদেরকে কোন বিল দিতে হবে না।'
ইউটিলিটি নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই, বলছে বেজা
বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে ইউটিলিটি পরিষেবা নিয়েও কিছু বিনিয়োগকারীর মধ্যে শঙ্কা রয়েছে। এবিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, ইউটিলিটি মানে গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ ও টেলিফোন সংযোগের সুবিধা। গ্যাসের প্রাথমিক চাহিদা মেটাতে আমরা ২০০ এমএমসিএফডি সক্ষমতার গ্যাস সিটি নির্মাণ করেছি। সেখান থেকে গ্যাস সংযোগ নেওয়া যাবে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা ২০২৮ সাল পর্যন্ত পানির যে চাহিদা থাকবে, সেটাও পূরণ করতে চাই। এজন্য আমরা ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগ থেকে কিছুটা পানি আনছি, আর কিছুটা আনা হচ্ছে মাতামুহুরি সেচ প্রকল্প থেকে। এভাবে আমরা দৈনিক ১৪০ মিলিয়ন লিটার পানি পাব, যা দিয়ে ২০২৮ সাল পর্যন্ত চাহিদা মেটাতে পারব।'
'এইস শিল্পাঞ্চলে যখন সব বিনিয়োগকারীরা উৎপাদন শুরু করবেন, তখন আমাদের দৈনিক ১ হাজার মিলিয়ন লিটার পানির চাহিদা তৈরি হবে। এজন্য কাজ করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ইতোমধ্যেই তারা একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) প্রস্তুত করেছে। এটা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে বাস্তবায়িত হবে। যখন দৈনিক ১ হাজার মিলিয়ন লিটার পানির সরবরাহ নিশ্চিত হবে, তখন পানি নিয়ে কোন সমস্যা থাকবে না।'
তিনি আরও বলেন যে, 'বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ আমরা পাচ্ছি। গ্রিড লাইন থেকে আরও সরবরাহ পাব। ভবিষ্যৎ চাহিদার জন্য আরও ৩ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট সরবরাহের জন্য কাজ করছে সরকার।'
'সবখানেই টেলিফোন ও ইন্টারনেট অবকাঠামো রয়েছে, তাই এসব পরিষেবা নিয়েও বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগের কিছু নেই'- যোগ করেন তিনি।