ব্যাংকের দুর্দশাগ্রস্ত সম্পদের পরিমাণ ১৪ মেট্রোরেল, ২৪ পদ্মাসেতু নির্মাণ ব্যয়ের সমান
অর্থনীতির শ্বেতপত্র কমিটি বলছে, রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত ঋণ প্রদান প্রক্রিয়া দেশের ব্যাংকিং খাতকে আরও গভীর সংকটে ফেলেছে। চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী ব্যাংকগুলোর দুর্দশাগ্রস্ত সম্পদ দিয়ে ১৪টি মেট্রোরেল ব্যবস্থা ও ২৪টি পদ্মাসেতু নির্মাণ করা যেত।
কমিটি আরও জানায়, ব্যাংকিং খাতই সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত খাত। এরপরে রয়েছে ভৌত অবকাঠামো এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত। একের পর এক ঋণখেলাপি এবং শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কেলেঙ্কারির কারণে দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়েছে।
উল্লেখ্য, খেলাপি ঋণ, ঋণ অবলোপন, ঋণ পুনঃতফসিল, ঋণ পুনর্গঠন এবং স্টে অর্ডার বা মামলায় আটকে থাকা ঋণকে একসঙ্গে স্ট্রেসড অ্যাসেটস বা দুর্দশাগ্রস্ত ঋণ বলা হয়।
শ্বেতপত্রের তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, দুর্দশাগ্রস্ত সম্পদের পরিমাণ ৬ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
খসড়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভঙ্গুর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এসব অপরাধ করার বহু সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। আর এ কারণেই ব্যাংকিং ব্যবস্থা দাঁড়াতে পারছিল না। ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) খেলাপি ঋণ হিসাব করলে দুর্দশাগ্রস্ত সম্পদের পরিমাণ আরও বেশি।
এসব কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ীদের কথা উল্লেখ করে এতে আরও বলা হয়, 'বিশেষ কিছু কারণ' বা নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী। এর সঙ্গে ব্যাংক খাতের কিছু শীর্ষ কর্মকর্তাও জড়িত। তারা ওই ব্যক্তিদের যোগসাজশে এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়েছে।