জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি না কমলে, নীতি সুদহার বাড়ানো হবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি না কমলে, নীতি সুদহার বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা।
তিনি বলেন, 'চলতি বছরের শেষের দিকে জানা যাবে— কী পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে এবং কোন ব্যাংকের মাধ্যমে কোন দেশে সেটি হয়েছে।'
আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, 'দেশের আর্থিক খাতে তাৎক্ষণিক ঝুঁকিগুলো ইতোমধ্যে সমাধান করা হয়েছে, তবে পূর্ণ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আসতে সময় লাগবে।'
হুসনে আরা শিখা বলেন, 'সুখবর হলো অর্থনৈতিক বিপদ এরইমধ্যে অনেকটা কেটে গেছে, ঝুঁকিও কমে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত যে অগ্রগতি হয়েছে তাতে ব্যাংক পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয়। '
তিনি বলেন, 'গত পাঁচ মাসে (জুলাই থেকে নভেম্বর) বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো পুনর্গঠন, ব্যাংকিং টাস্কফোর্স গঠন, বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে স্থিতিশীলতা, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন সংকটের সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।'
মুখপাত্র বলেন, 'এসব পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে বেশ কিছু সুবিধা অর্জিত হয়েছে। তবে কোনো কোনো উদ্যোগের ফল পেতে একটু সময় লাগবে।'
তিনি বলেন, 'আবার পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনাও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কাজ করছে। নিরাপত্তার স্বার্থে তারা এ বিষয়ে কোনো তথ্য আমাদের দেবে না।'
তিনি আরও বলেন, 'রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) এখন পর্যন্ত ৪০০ ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছ। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আমরা নীতি সুদ হার বাড়িয়েছি। জানুয়ারিতে মুদ্রাস্ফীতি কমে আসবে বলে আশা রাখছি। যদি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে না আসে, ফের নীতি সুদ হার বাড়ানো হবে।'
নিম্নমুখী বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'কেবল সুদের হারের ওপরই বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি নির্ভর করছে না, এরসঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও জ্বালানি সরবরাহ এবং বন্দর সুবিধাও জড়িত।'