ভোজ্যতেলের ওপর আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ভ্যাট মওকুফ
সরকার আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সয়াবিন তেলের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় অর্থমন্ত্রী বলেন, সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে উৎপাদন পর্যায়ে ১৫% এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৫% ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখনো এ সংক্রান্ত কোনো বিধিবিধান বা এসআরও জারি হয়নি; এটা আগামী সপ্তাহে হতে পারে।
বর্তমানে আমদানি পর্যায়ে ১৫%, উৎপাদন পর্যায়ে ১৫% আর সরবরাহ পর্যায়ে ৫% ভ্যাট আছে।
উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহার হতে পারে বলে কর্মকর্তা জানান।
এর আগে এনবিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ক্রমেই চড়তে থাকা ভোজ্যতেলের দামে লাগাম টানতে আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স (ভ্যাট) প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করছে তারা।
এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
ভোজ্যতেলের উপর ভ্যাট প্রত্যাহারে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ পর্যন্ত একাধিকবার অনুরোধ জানিয়েছে এনবিআরকে।
সর্বশেষ গত সোমবার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এক সভায় তিন মাসের জন্য ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানায়।
বর্তমানে ভোজ্যতেলের আমদানি মূল্যের উপর আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে। এর পর স্থানীয় পর্যায়ে বিক্রির সময়ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে, এ থেকে আমদানিতে দেওয়া ভ্যাট সমন্বয়ের সুযোগ রয়েছে।
তবে আমদানিনির্ভর ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে যাওয়ায় এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভ্যাটের পরিমাণও বাড়তে থাকে, যা ভোক্তা পর্যায়ে আরও চাপ তৈরি করে।
দাম বেড়ে যাওয়ায় গত কয়েক মাস ধরেই ভোজ্যতেলের উপর ভ্যাট কমানোর দাবি আসতে থাকে বিভিন্ন মহল থেকে।
ভোজ্যতেলের দাম বাড়তে থাকে ২০২০ সালের শেষ দিক থেকে। টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, এক বছরে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে ২৪ শতাংশের বেশি।