তেলের সংকট ‘কৃত্রিম ও গুজবীয়’
দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের যে সংকট চলছে, সেটিকে 'কৃত্রিম ও গুজবীয়' বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেছেন, সরকারের সংস্থাগুলো আগে থেকেই পরিকল্পনা করলে এই সংকট এড়ানো যেত।
শনিবার রাজধানীর মগবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে ভ্যাট আদায়ের সমস্যা নিরসনে চার দফা দাবি নিয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
সংবাদ সম্মেলনে চলমান তেলসংকট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, 'আমার জানামতে দেশে ভোজ্যতেলের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা তো ব্যবসা করবেন লাভের জন্য, লোকসান দিয়ে তো করবেন না। এই জায়গায় সরকারি সংস্থাগুলোর, বিশেষ করে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের পরিকল্পনায় ঘাটতি ছিল।'
হেলাল উদ্দিন আরও বলেন, তেল আমদানি করে আনতে হয়। বিশ্ববাজারে তেলের দাম যখন বাড়ে, তখন ট্যারিফ কমিশনের কাছে বারবার দাম পুনঃনির্ধারণের কথা বলা হলেও তারা করব, করছি করে সেটা আর করেনি। রোজার মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ অনুরোধে ব্যবসায়ীরা আগের দামে তেল বিক্রি করেছেন। তখনো পার্শ্ববর্তী দেশসহ অন্য অনেক দেশে দাম বাড়তি ছিল। এদিকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সবাই তো জানে যে তেলের দাম বাড়বে। ফলে ঈদের সময়ে এসে তেল নিয়ে 'গুজবীয়' সংকট তৈরি হয়েছে।
তবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে এখানেও দাম কমবে বলে মনে করেন হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে এখানেও দাম কমাতে হবে। একজন দাম না কমালে অন্যজন তো কম দামে আমদানি করে পণ্য বিক্রি করবে। আবার যখন দাম বাড়বে, তখন বাজারকে স্বনিয়ন্ত্রণে ছেড়ে দিতে হয়। জোর করে ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির নেতারা খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে ভ্যাট আদায় নিয়ে নানা অভিযোগ তোলেন।
এসব সমস্যা সমাধানে আসন্ন বাজেটকে সামনে রেখে খুচরা পর্যায়ে ভ্যাট কমানোর মতো চারটি দাবি তুলে ধরেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।