রপ্তানি বাড়াতে শিথিল করা হলো প্রণোদনা ঋণের শর্ত
কোভিড ক্ষতিগ্রস্ত রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর রপ্তানির পরিমাণ বাড়াতে প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট রিফাইন্যান্সিং স্কিমের ঋণের শর্ত শিথিল করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নতুন নীতিমালায় এ প্যাকেজ থেকে ব্যাংকগুলো প্যাকিং ক্রেডিটের জন্য ৫০% ঋণ বিতরণ করতে পারবে। যদিও আগে এ প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে প্যাকিং ক্রেডিট খাতে ঋণের সুযোগ ছিল না।
রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার ইস্যু করে বলা হয় ব্যাংক ও গ্রাহক পর্যায়ে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা আরও সহজ করার জন্য নীতিমালার পরিবর্তন করা হলো।
নতুন সার্কুলারে বলা হয়, কোন গ্রাহক পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা গ্রহণ করে রপ্তানি করার পর তিনবারের বেশি রপ্তানিমূল্য অপ্রত্যাবাসিত (ওভারডিউ এক্সপোর্ট বিল) থাকলে এ তহবিলের সুবিধা পাবে না। যদিও আগে একটি ওভারডিউ এক্সপোর্ট বিল থাকলে আর সুযোগ পেতো না।
এছাড়া পূর্বে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের সুদহার ছিল ৫% যার মধ্যে ব্যাংকগুলো পেতে ১%। এখন সুদহার কমিয়ে সাড়ে ৩% করা হয়েছে যার মধ্যে ব্যাংকগুলো পাবে ০.৫%।
এ স্কিমের আওতায় সকল তফসিলি ব্যাংক এ পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। তবে তাদের বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে পার্টিসিপেশন এগ্রিমেন্ট বা অংশগ্রহণ চুক্তি করতে হবে। ইতিপূর্বে যাদের চুক্তি রয়েছে তাদের নতুন করে আর এই অংশগ্রহণ চুক্তির প্রয়োজন নেই।
এছাড়া এ স্কিমের আওতায় লেটার অব পার্টিসিপেশন ছাড়া সাতটি তথ্যাদি কাগজে এমডির স্বাক্ষর দিতে হতো যার কারণে একটি ঋণের শর্ত পূরণে অনেক সময় নষ্ট হতো। নতুন এ নীতিমালায় এমডি যাকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিবেন তারও স্বাক্ষরের সুযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট রিফাইন্যান্সিং স্কিমে লক্ষ্যমাত্রার অনেক কম পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা দেয়া হয়েছে। তাই এ স্কিমের আওতায় রপ্তানিকারকদের আরও সুযোগ দেয়া হয়েছে যাতে লক্ষ্যমাত্রা পরিপূর্ণ হয়, একইসঙ্গে দেশের রপ্তানির পরিমাণও বৃদ্ধি পায়।
এর আগে গত বছরের ২৬ এপ্রিল একটি সার্কুলারের মাধ্যমে প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট রিফাইন্যান্সিং স্কিম খাতের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম করা হয়। যার মেয়াদ করা হয় ৫ বছরের জন্য।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণোদনা রিপোর্টে দেখা যায়, প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট রিফাইন্যান্সিং স্কিমখাতের পাঁচ হাজার কোটি টাকার ঋণের চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়েছে ৬৫১ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ১৩%। এর মাধ্যমে মাত্র ৬৭টি প্রতিষ্ঠান সুবিধা গ্রহণ করেছে।