এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি, মিয়ানমারের দখল নিল সেনাবাহিনী
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
একজন জেনারেলকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সোমবার ভোরে এক অভিযানে দেশটির নেত্রী অং সান সু চি এবং ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) জ্যেষ্ঠ নেতাদের আটকের পর এ ঘোষনা এল।
গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সু চির দল এনএলডি জয় পায়। তবে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে সেনাবাহিনী।
কূটনীতিবিদদের একাংশের দাবি, সেনা অভ্যুত্থান ঘটেছে সে দেশে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন বা মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক উত্তরণে বাধাগ্রস্ত করার যে কোন প্রয়াসের বিরোধিতা করছে এবং এই পদক্ষেপগুলি প্রত্যাহার না করা হলে দায়বদ্ধদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।"
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী মারিস পেইন বলেন, "মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী কর্তৃক মিয়ানমারের নিয়ন্ত্রণ দখলের চেষ্টা এবং রাষ্ট্রীয় কাউন্সেলর অং সান সুচি ও প্রেসিডেন্ট উ উইন মিন্টকে আটকের খবরে অস্ট্রেলিয়ান সরকার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে"।
ইতিহাসবিদ ও লেখক থান মিন্ট উ মন্তব্য করেছেন, "সবেমাত্র ভিন্ন একটা ভবিষ্যতের প্রতি আমাদের ঠেলে দেয়া হলো। আমার ভেতর থেকে এই তাড়নাই আসছে যে, সামনে যা ঘটতে চলেছে তা কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। মনে রাখবেন মিয়ানমার অস্ত্রশস্ত্রে নিমজ্জিত একটি দেশ। এখানে রয়েছে গভীর জাতিগত ও ধর্মীয় বিভাজন। লক্ষ লক্ষ এখানে অনাহারে জীবন অতিবাহিত করে"।
এছাড়া এশিয়া অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর ফর হিউম্যান রাইটস-এর অধিকর্তা জন সিফটন মিয়ানমারের সেনারা নাগরিক আইন মেনে চলে না বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, " কয়েক দশক ধরে মিয়ানমার শাসন করে আসা সামরিক জান্তা আদতে কখনোই ক্ষমতা থেকে সরে যায় নি...তারা বেসামরিক কর্তৃত্বের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। আজকের ঘটনাবলি কেবল একটি রাজনৈতিক বাস্তবতা প্রকাশ করে যা সবসময়ই মিয়ানমারের রাজনীতিতে বিদ্যমান ছিল"।
মিয়ানমার সেনা নেতৃত্বের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বসাতে জো বাইডেন সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।