করোনার ‘নিরাপদ’ ভ্যাকসিন আনতে আরও ৬ মাস লাগবে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের
ভারতে সরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ১৫ আগস্টের মধ্যে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বাজারে নিয়ে আসার ঘোষণার পর আরেক ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান দাবি করেছে, তড়িঘড়ি ভ্যাকসিন তৈরি না করে, ৬ মাস পর একটি 'নিরাপদ' ভ্যাকসিন বাজারে আনবে তারা।
সেরাম ইনস্টিটিউট নামে পুনেভিত্তিক এই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে একটি নিরাপদ এবং সহজলভ্য ভ্যাকসিন তৈরির লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই তারা ভ্যাকসিনের প্রাথমিক ট্রায়াল শেষ করেছে।
মহামারি করোনারভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের ১ কোটি ২১ লাখ মানুষ। এরমধ্যে ১৩৮ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারত তাদের দেশে এখন পর্যন্ত ৭ লাখ ৬৯ হাজার জনের শরীরের ভাইরাসটির উপস্থিতি খুঁজে পেয়েছে।
সেরাম ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানান, নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরির লক্ষ্যে তাদের গবেষকরা মোটেও তাড়াহুড়া করছেন না।
তিনি বলেন, "যখন আমরা নিজেরা নিশ্চিত হতে পারবো, ভারত এবং সারা বিশ্বের মানুষের জন্য একটি নিরাপদ ভ্যাকসিন তৈরি করতে পেরেছি আমরা, তখন আমরা ভারতীয় ওষুধ প্রশাসন কর্তৃপক্ষের অনুমতির পর সেটির ঘোষণা দেবো। কিন্তু সেটার জন্য এখনো ছয় মাস প্রয়োজন।"
তিনি বলেন, "এই বছরের শেষদিকেই আমরা একটি ভ্যাকসিন পাওয়ার আশা করছি। তাই যখন ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শেষ হবে তখন আমরা এটা নিয়ে কথা বলবো। সম্প্রতি আরও একটি ভ্যাকসিনের খবর বেরিয়েছে যারা খুব দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। আমরা দ্রুতগতিতে এগোতে চাইনা। আমরা নিরাপদ এবং কার্যকর ভাইরাসের দিকে নজর দিতে চাই।"
এর আগে গত শনিবার ভারত বায়োটেক, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির (এনআইভি) যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা একটি ভ্যাকসিন সম্পর্কে তারা জানায়, ভারতের স্বাধীনতা দিবস ১৫ আগস্টের মধ্যেই তারা এই ভ্যাকসিন বাজারে আনতে চায়।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ জানায়, 'কোভ্যাক্সিন' নামে ওই প্রতিষেধকের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হয়েছে। সফলও হয়েছে। হিউম্যান ট্রায়ালও হয়ে যাবে শিগগিরই। শেষ পর্যায়ে সাফল্য পেলে ১৫ আগস্টের মধ্যে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন এসে যাবে।