গালওয়ানের পুনরাবৃত্তি এড়াতে চীনের সঙ্গে 'প্যাট্রলিং প্রোটোকল' বানাতে চায় ভারত
গত ১৫ জুন ভারত ও চীনের মধ্যবর্তী গালওয়ান সীমান্তে সেনাবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে দু'দেশের মধ্যেই। সম্পর্ক শান্ত করতে লম্বা বৈঠক হচ্ছে দুই দেশের সেনা কম্যান্ডারদের মধ্যে। অন্যদিকে এই ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানোর উপায় নিয়ে ভাবছেন কূটনীতিবিদরা। সেই লক্ষ্যে প্যাট্রলিং প্রোটোকল তৈরী করার কথা ভাবা হচ্ছে।
এদিকে সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ধার ঘেঁষে চীন রাস্তা বানাচ্ছে, অপটিক্যাল কেবল বসাচ্ছে ও সোলার প্যানেল বানাচ্ছে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে একই পথে হাঁটছে ভারত। আজ হোক বা কাল। অর্থাৎ রীতিমতো প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে দুই দেশই। ফলে দুই দেশের সেনা প্যাট্রল করার সময়ে আবারও বড়সড় ঝামেলা লাগতে পারে বলে আশংকা করছেন কূটনীতিকরা।
আপাতত গোগরা ও প্যাংগং সো থেকে চীনকে পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়েই মাথা ব্যথা ভারতের। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে প্রোটোকলের কথাও ভাবা হচ্ছে। এর জন্য সীমান্তের কোথায় কোথায় বাহিনী মোতায়েন করা আছে তার ম্যাপ ভারত ও চীনকে একে অপরের সঙ্গে বণ্টন করে নিতে হবে বলে জানান ভারতের এক জ্যেষ্ঠ্য সেনা কর্মকর্তা।
তিনি জানান, আগে ভারত ও চীনের সেনারা মাসে একবার করে নিজেদের যতটা অবধি লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা সে পর্যন্ত চক্কর কেটে আসত। কেউ কোনও বিবাদে যেত না। কিন্তু এখন দুইপক্ষই সীমান্তে গতিবিধি বাড়িয়েছে, ফলে প্যাট্রলিং আগের চেয়ে বেশি হচ্ছে, ঝামেলাও বেড়েছে।
প্রসঙ্গত ২০০২ সালে ম্যাপ হস্তান্তরের কথা উঠলেও শেয মুহূর্তে পিছিয়ে আসে চীন। সেখান থেকেই পুরো প্রক্রিয়া আটকে গেছে। কিন্তু সীমান্তে শান্তির জন্য এটি দরকার। অনেক সেনা অফিসার মনে করেন নিজেদের সীমান্তের মধ্যে যে কেউ পরিকাঠামো উন্নয়ন করতেই পারে। এটা নিয়ে অন্য দেশের আপত্তির করার কিছু নেই। চীন যেমন করছে ভারতও করতে পারে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস