চীনা যাত্রীর বমি, ভারতীয় বিমান চলাচল ব্যাহত
করোনা ভাইরাস নিয়ে বিশ্বব্যাপী শঙ্কার মধ্যেই ভারতের পুনে থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে বমি করেন চীনা এক নাগরিক। এ নিয়ে অন্য যাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া উৎকণ্ঠার পর নির্ধারিত সময়ের সাড়ে চার ঘণ্টা পর ছাড়তে হয় ওই ফ্লাইটটি।
ধনঞ্জয় কুমার নামে এয়ার ইন্ডিয়ার একজন মুখপাত্র জানান, ‘অসুস্থ্য’ ওই যাত্রীকে পরবর্তী সময়ে প্লেন থেকে নামিয়ে আনা হয় এবং স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষার জন্য তার রক্ত ও বমির নমুনা পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনা ভাইরাস নিয়ে ওই বিমানের যাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ায়, ফ্লাইটটি চালু করতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে সাড়ে চার ঘণ্টা বেশি দেরি হয়।
পুনের নাইদু হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চীনা এই নাগরিককে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
“আমরা তার ভ্রমণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। তার রক্তের নমুনাও ন্যাশনাল ভাইরোলজি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।”
ভারতের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের (সিআইএসএফ) একজন সদস্য বলেন, “চীনের এক নাগরিক পুনে থেকে দিল্লিগামী একটি বিমানের ভেতরে বমি করায় অন্য যাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। পরে ওই যাত্রীকে বিমান থেকে নামিয়ে নাইদু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”
এয়ার ইন্ডিয়ার ওই ফ্লাইটটি পরবর্তীতে দুপুর ১২টা ১১ মিনিটে দিল্লির উদ্দেশে ছেড়ে যায় যা ৭টা ৪০ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল।
করোনা ভাইরাস নিয়ে বিশ্বব্যাপী শঙ্কা ছড়িয়ে যাওয়ার পর ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনের সঙ্গে বিশ্বের অনেক দেশই বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
এখন কেবল চীনের মূল ভূখণ্ডেই নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ১৪৩ জনে। চীনের বাইরে আরও অন্তত ২৫টি দেশ ও অঞ্চলে আড়াইশর বেশি মানুষ এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মারা গেছেন সব মিলিয়ে ৬৩৬ জন।