নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সিতে আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৯ জনের মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সিতে ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত নয় জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আইডার প্রভাবে তীব্র বৃষ্টিপাতে ডুবে গেছে সাবওয়ে লাইন। বিমানের ফ্লাইটও স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
নিউ ইয়র্কে প্রথমবারের মতো বন্যায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস। নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র বিল ডে ব্লাসিও বুধবার রাতের এও বিপর্যয়কে 'আবহাওয়াজনিত ঐতিহাসিক ঘটনা' হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই জনবহুল মেট্রোপলিটন এরিয়ার যান ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে পুনরুদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক গভর্ন ক্যাথি হোকুল সবাইকে ঘরে অবস্থানের অনুরোধ জানিয়েছেন। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে সময়ও চান তিনি। এদিকে, ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ায় যাওয়ায় রাতে বহু মানুষ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি।
ঝড়ের কারণে ফিলাডেলফিয়া থেকে নিউইয়র্কে ঘণ্টায় দুই থেকে তিন ইঞ্চি বৃষ্টিপাত রেকর্ডের কথা জানায় ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস।
মেট্রোপলিটন ট্রানজিট অথরিটি (এমটিএ) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালেও নিউইয়র্ক সিটিতে সাবওয়ে পরিষেবা "অত্যন্ত সীমিত" ছিল।
এমটিএর ভারপ্রাপ্ত চেয়ার এবং সিইও জ্যানো লিবার স্থানীয় গণমাধ্যমকে জামান চলাচল আগের মতো হতে বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ছবিতে সাবওয়ে প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনে পানি ঢুকতে দেখা গেছে। ফলে, দ্রুত সাবওয়ে থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয় বলে জানান লিবার।
পার্শ্ববর্তী নিউ জার্সিতেও একজনের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন মেয়র হেক্টর লরা।
এর বাইরে নিউ জার্সিতে আরও একজনের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া গেছে।
নিউ ইয়র্ক শহরে দুই বছরের শিশুসহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর থেকে জানা গেছে যে, পানির কারণে মানুষ বেজমেন্টে আটকা পড়েছে।
নিউ জার্সির মেয়র লরা জানান, বন্যার পানি থেকে সত্তর বছর বয়সী একজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। গাড়ি চালানোর সময় পানিবদ্ধ হয়ে তিনি মারা যান। দমকলকর্মীরা চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারেননি।
বুধবার নিউ ইয়র্ক এবং নিউ জার্সির গভর্নর জরুরি অবস্থার ঘোষণা দেন।
জরুরি নয় এমন সকল যানবাহন ভোর পাঁচটা পর্যন্ত রাস্তায় নিষিদ্ধ করা হয়।
বুধবার অন্তত পাঁচটি পানির ঢরআটলান্টিক সিটি রেললাইন ছাড়া নিউ জার্সির সকল ট্রেন চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।
পেনসিলভেনিয়া ও নিউ জার্সিসহ উত্তরপূর্বের পাঁচ স্টেটের অন্তত দুই লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
মাত্র তিনদিন আগে গত রোববার লুইজিয়ানায় শক্তিশালী হারিকেন আইডার আঘাতে সেখানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
- সূত্র: রয়টার্স