'প্রতিযোগিতা যাতে সংঘাতে পরিণত না হয়', শান্তির বার্তা দিতে শি জিন পিংকে ফোন বাইডেনের
দীর্ঘ সাতমাস পর ফোনে কথা হলো চীন এবং আমেরিকার রাষ্ট্রনেতাদের। জানা গিয়েছে, আফগানিস্তান পরিস্থিতির মাঝে এদিন হোয়াই হাউজ থেকে আচমকাই ফোন যায় বেইজিংয়ে। হোয়াইট হাউজের তরফ থেকে জানানো হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংকে বলেন যে দুই দেশের মধ্যকার প্রতিযোগিতা যেন সংঘাতে পরিণত না হয়। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে দুই রাষ্ট্রপ্রধান দুই ঘণ্টা ফোনে কথা বলেছিলেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে এই ফোনালাপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। আফগানিস্তানে তালেবান শাসন শুরু হওয়ায় ইতোমধ্যেই সেখানে অন্তরবর্তীকালীন সরকারের ঘোষণা হয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর এই সরকারের সদস্যরা শপথ গ্রহণ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে চীন তালেবানকে সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছে।
আফগানিস্তানে আমেরিকার নাজেহাল অবস্থা দেখে বেইজিং যে 'জয়' খুঁজছে তা বলাই বাহুল্য। তালেবান সরকারকে ৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ত্রাণ পাঠানোর কথাও ঘোষণা করেছে জিন পিং প্রশাসন। তবে তালেবানের কট্টরপন্থা নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে চীন নিজেও। এদিকে দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব বিস্তার নিয়ে বেশ চিন্তিত আমেরিকা। পাশাপাশি আফ্রিকার দেশগুলোকে যেভাবে অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া করছে চীন, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন আমেরিকাসহ পশ্চিমের গণতান্ত্রিক দেশগুলো।
এদিকে, আফগানিস্তান ইস্যু বাদ দিলে দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে দুই দেশের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। বাণিজ্য যুদ্ধ, নৌ আধিপত্য বিস্তারের রেষারেষির আবহে তৈরি হয়েছে চীন বিরোধী জোট কোয়াড। এই পরিস্থিতিতে কয়েকদিন আগেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরে যান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। এরপরই নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে চীন-আমেরিকার মধ্যে। তবে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তুলনায় কম আগ্রাসী অবস্থান গ্রহণ করছেন বাইডেন।