ফাইজার ও মডার্না টিকার সঙ্গে হৃৎপিণ্ডে মৃদু প্রদাহের যোগসূত্র খুঁজে পেল ইইউ
হৃদপিণ্ডে মৃদু প্রবাহ বা জ্বালাপোড়ার বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সঙ্গে ফাইজার ও মডার্না আবিষ্কৃত কোভিড-১৯ টিকা দুটির সম্ভাব্য যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়নের ওষুধ প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার (৯ জুলাই) এ তথ্য জানিয়ে ইউরোপিয়ান মেডিসিন্স এজেন্সি (ইএমএ) বলেছে, তারপরও টিকা গ্রহণের সুফল, সম্ভাব্য এই ঝুঁকির চাইতে অনেকগুণই বেশি।
ইএমএ বলেছে, এমআরএনএ প্রযুক্তির এ ভ্যাকসিন দুটির সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব হিসেবে হৃৎপিণ্ডের মায়োকার্ডিয়াটিস ও পেরিকার্ডিয়াটিস সৃষ্টিকে ঝুঁকির তালিকায় রাখা আবশ্যক। সাধারণত টিকা গ্রহণের ১৪ দিনের মধ্যে এসব লক্ষণ দেখা দেয় বলেও জানায় সংস্থাটি।
বিশেষ করে, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া অপেক্ষাকৃত তরুণ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের মধ্যে এর সম্ভাবনা বেশি বলেও উল্লেখ করা হয়।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে,শ্বাসকষ্ট, বুক ধুকধুকানি ও বুক ব্যথার লক্ষণ দেখা যায়।
ইউরোপিয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসহ আইসল্যান্ড, নরওয়ে এবং লিখস্টেনস্টেইন- এ ফাইজার ও মডার্নার টিকাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩০০টি মায়োকার্ডিয়াটিস ও পেরিকার্ডিয়াটিসের ঘটনা বিশ্লেষণ করে এ উপসংহার টানে সংস্থাটি।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফাইজারের টিকা গ্রহণের পর এসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ার প্রমাণ মিলেছে। ইউরোপিয় ইউনিয়নে মডার্নার চাইতে ফাইজারের টিকাই বেশি দেওয়া হচ্ছে।
এনিয়ে দেওয়া এক বিবৃতিতে ফাইজার ইঙ্ক বলেছে, "বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এমন প্রভাব অত্যন্ত মৃদু ধরনের এবং সাধারণ চিকিৎসা ও বিশ্রাম নিলেই আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে ওঠেন।" তবে ফাইজার টিকার সহযোগী আবিষ্কারক জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেক তাৎক্ষনিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
তাছাড়া, জনসন অ্যান্ড জনসন ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত কোভিড টিকাও এমন প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয় কিনা তা খতিয়ে দেখছে ইএমএ।
তবে শুক্রবার এ দুটি টিকার সঙ্গে হৃৎপিণ্ডের আলোচিত প্রভাবের কোনো সম্পর্ক এপর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলেও জানানো হয়।
- সূত্র: রয়টার্স