ভারতে ভ্যাকসিনের কাঁচামাল রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা ওঠানোর ব্যাপারে মন্তব্য করতে নারাজ হোয়াইট হাউজ
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের উৎপাদন বাড়াতে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার (এসআইআই) প্রশ্নের উত্তর দেয়নি হোয়াইট হাউজ।
গত সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকালে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত হোয়াইট হাউজের ব্রিফিংয়ে একবার ও হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকির নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে আবারও এব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়।
হোয়াইট হাউজের কোভিড রেসপন্স টিমের সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, "সেরাম ইনস্টিটিউট বলছে বাইডেন প্রশাসন কোভিড ভ্যাকসিন তৈরির কাঁচামাল রপ্তানিতে বাধা দিচ্ছে। এই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়ার অনুরোধও করেছে সেরাম ইনস্টিটিউট। আমি প্রশ্ন করতে চাই কোন কোন কাঁচামাল নিয়ে এই জটিলতা? এ বিষয়টি নিয়ে আপনাদের কিছু বলার পরিকল্পনা আছে কি?"
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের পরিচালক ডা. অ্যান্থনি ফাউসি ও ডা. অ্যান্ডি স্লাভিট দুজনই জানান তাদের কাছে উত্তর নেই।
"আমি জানি না..আমি দুঃখিত। এব্যাপারে পরে কথা বলতে পারি। কিন্তু আপাতত আমার কিছু বলার নেই," বলেন ডা. ফাউসি।
ডা. স্লাভিট বলেন, "বলার অপেক্ষা রাখে না আমরা মহামারির বৈশ্বিক হুমকিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি। কোভ্যাক্সের অর্থায়নে আমরা শীর্ষস্থানীয়, বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় ভ্যাকসিন সরবরাহের চুক্তি করেছি। এসকল জটিল বিষয়গুলোকেও গুরূত্বের সঙ্গে দেখছি। আমরা সুনির্দিষ্ট উত্তর নিয়ে আপনাদের কাছে ফিরে আসবো,"
হোয়াইট হাউজের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনেও এধরনের প্রশ্ন করা হয়।
জেন সাকির কাছে একজন সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, "ভ্যাকসিন বানানোর কাঁচামালের সংকটে পড়েছে ভারত। দেশটির কর্মকর্তারা এসব কাঁচামালের ওপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন। ভারতে কর্মরত আমার সহকর্মীরা জানিয়েছে, সম্প্রতি বাইডেন প্রশাসন ভারতকে জানিয়েছে তাদের অনুরোধ বিবেচনা করা হচ্ছে, যতো দ্রুত সম্ভব এ ব্যাপারে কাজ শুরু হবে। আপনি কি এব্যাপারে আরও বিস্তারিত তথ্য দিতে পারবেন?
এ প্রশ্নের উত্তরে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ক্যাথেরিন তাইয়ের বক্তব্যের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
"উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে ভ্যাকসিন পাওয়ার যে বৈষম্য দেখছি তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। বিশেষ সময়ে প্রয়োজন অসাধারণ নেতৃত্ব, যোগাযোগ ও সৃজনশীলতা," তার বক্তব্যে বলেন ক্যাথেরিন।
"কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব নিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে বৈশ্বিক পরিসরে কাজ করছি আমরা। এ বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ আছে আমাদের, তা কোভ্যাক্সে ৪০০ কোটি ডলার অর্থায়নের অঙ্গীকার হোক বা যেসব দেশগুলোর সবচেয়ে বেশি সাহায্য প্রয়োজন আমরা কীভাবে তাদের সাহায্য করতে পারি সে সম্পর্কিত আলোচনাই হোক,"
"কিন্তু আমাদের প্রধান লক্ষ্য কীভাবে সবচেয়ে কার্যকর পন্থায় মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনা যায় তা নির্ধারণ করা। পরবর্তী পদক্ষেপ বা সময়ের হিসেবে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না, কিন্তু বেশ কিছু বিকল্পের মধ্যে কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখছি আমরা," বলেন সাকি।
- সূত্র: এনডিটিভি