মিয়ানমারে পুনরায় নির্বাচন, ভোট কারচুপি প্রকাশের ঘোষণা সেনাবাহিনীর
মিয়ানমারে ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের অনিয়ম এবং কারচুপির বিষয়গুলো সামনে তুলে এনে ব্যবস্থা গ্রহণের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তাতমাদাও (মিয়ানমারের সেনাবাহিনী)।
১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা কাউন্সিলের অধিবেশনে ১/২০২১ বিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেনাবাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং বিজ্ঞপ্তিটি জারি করেন। সেনা নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন চ্যানেল মিয়াওয়াডি নিউজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ইউ মিন্ট সুয়ে, ভাইস সিনিয়র জেনারেল সুয়ে উইন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল সেইন উইন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল সু হাট এবং সীমান্ত বিষয়ক মন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়ে অং অধিবেশনে যোগদান করেন।
সূত্রানুসারে, সেনাবাহিনী আরেক দফা সাধারণ নির্বাচন রাখবে এবং জয়লাভের ভিত্তিতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।
করোনা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণেও দ্রুত ব্যবস্থা নিবে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। দেশের অর্থনীতি এবং শান্তি রক্ষার বিষয়েও নজর রাখবে বলে জানানো হয়। ২০০৮ সালের সংবিধানে বর্ণিত 'জরুরি অবস্থা' মোতাবেক সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ মিয়ানমার এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে। কমান্ডার ইন চিফ মিন অং হ্লাইং এখন ক্ষমতার শীর্ষে অবস্থান করছেন। অন্যদিকে, ইউ মিন্ট সুয়েকে সাময়িক ভাবে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে আজ সকালে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি, রাষ্ট্রপতি ইউ উইন মিন্ট এবং এনএলডির (ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি) অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের আটক করে সেনাবাহিনী। সোমবার থেকেই নতুন পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল৷
মিয়ানমার ব্যাংকারস এসোসিয়েশনের তথ্যানুসারে মিয়ানমারের ব্যাংকগুলোও সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, বৃহত্তম সুপার মার্কেট চেইন সিটি মার্টও আজ বিকাল ছয়টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
এছাড়া দেশটির টেলিভিশন চ্যানেল, ফোন লাইন এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। তবে কিছু জায়গায় সংযোগ ফিরেছে।
- সূত্র: মিয়ানমার টাইমস