যুক্তরাজ্যে কোভিডের নতুন ধরনটি ‘আরও মারাত্মক’: বরিস জনসন
প্রাথমিকভাবে পাওয়া আলামত অনুযায়ী যুক্তরাজ্যে উত্থিত করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটি আরও মারাত্মক হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
বিবিসি জানিয়েছে, নতুন এই ভাইরাসটির তথ্য বিশ্লেষণ করছে যুক্তরাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের উপদেষ্টা কমিটির বিজ্ঞানীরা।
যদিও সবকিছুই এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, তবু নিরীক্ষায় জানা গেছে যে, এই ধরনটির পুরনো ভাইরাসের ধরনটির চাইতে অনেক দ্রুত ছড়াতে সক্ষম।
সেপ্টেম্বরে কেন্টে প্রথম এই ভাইরাসটির অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। তখন থেকেই এটি ইংল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডে বিস্তৃত সবচেয়ে শক্তিশালী ভাইরাস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে। এছাড়াও আরও ৫০টি দেশে এটি ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।
"দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা তো রয়েছেই, পাশাপাশি এ পর্ন্ত পাওয়া প্রমাণের আলোকে বলা যায়, লন্ডন ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে প্রথম চিহ্নিত হওয়া এই ভাইরাসটি মৃতের হার বাড়িয়ে তুলবে অনেকগুণ", জানান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
"এই ভাইরাসের প্রভাবে এনএইচএসকে (ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস) এখন আগের চাইতেও অধিক চাপে থাকা লাগবে।"
যুক্তরাজ্য সরকারের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা স্যার প্যাট্রিক ভ্যালেন্স ভাইরাসটিকে "এখনও অতটা শক্তিশালী নয়" হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তবে আগেরটির চাইতেও যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের নতুন এই ধরনটি ৩০ শতাংশ বেশি মারাত্মক উল্লেখ করে তিনি জানান, পুরনো ধরনটি ১০০০ জন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিকে সংক্রমিত করলে তাতে ১০ জনের মৃত্যুর আশংকা থাকত। তবে নতুন এই ধরনে মৃতের সংখ্যা গিয়ে ঠেকার সম্ভাবনা প্রতি হাজারে ১৩ জনে ।
নতুন এই ভাইরাসটির প্রবেশ ঠেকাতে আগে থেকেই সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার নিয়ে সরকার সচেতন ছিল বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন।
"আমি এটা অস্বীকার করছিনা, আমাদের এখনো আরও অনেক পদক্ষেপ নেয়া বাকি", বলেন জনসন।
এদিকে নতুন এ ধরনটির বিস্তার ঠেকাতে গেল সপ্তাহেই দক্ষিণ আমেরিকা, পর্তুগাল এবং অনেক আফ্রিকান দেশগুলোর ভ্রমণকারীদের ওপর যুক্তরাজ্য নতুন করে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যুক্তরাজ্যের বাইরে থেকে আসা প্রত্যেককে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে আসা লাগবে; যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পরেও থাকতে হবে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে।