সিনোভ্যাকের পরে ফাইজারের বুস্টার ডোজ ওমিক্রনের বিরুদ্ধে 'কম কার্যকর'
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সিনোভ্যাকের দুই ডোজ টিকার পরে ফাইজার-বায়োটেকের বুস্টার ডোজ করোনার অন্যান্য ধরনের তুলনায় ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কম কার্যকর বলে উঠে এসেছে এক গবেষণায়।
গবেষণা অনুসারে, সিনোভ্যাকের দুই ডোজ টিকার সঙ্গে ফাইজারের এক ডোজ বুস্টার শট মডার্নার দুই ডোজের মতো সুরক্ষা নিশ্চিত করে থাকে। করোনার আগের ধরনগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে এর অ্যান্টিবডির মাত্রা ৬.৩ গুণ কম। এবং ডেল্টার সঙ্গে তুলনায় অ্যান্টিবডির মাত্রা ২.৭ গুণ কম পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়, ডোমিনিকান রিপাবলিকের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত এই গবেষণাটি এখনও পর্যন্ত পিয়ার-রিভিউ বা পর্যালোচনা করা হয়নি।
গবেষণার অন্যতম লেখক আকিকো ইওয়াসাকি টুইটারে জানিয়েছেন, চীনের করোনাভ্যাক গ্রাহণকারীদের ওমিক্রনের বিরুদ্ধে 'সুরক্ষার প্রয়োজনীয় মাত্রা' অর্জনে অতিরিক্ত দুটি বুস্টার ডোজ প্রয়োজন হতে পারে।
গবেষণায় ডোমিনিকান রিপাবলিকের ১০১ জন অংশগ্রহণকারীর রক্তের প্লাজমা নমুনা বিশ্লেষণ করা হয়। সিনোভ্যাকের দুই-ডোজ টিকা ওমিক্রনের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো কার্যকারিতা দেখায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে।
গত সপ্তাহে হংকংয়ের এক গবেষণায় বলা হয়েছিল, সিনোভ্যাকের তিনটি ডোজও ওমিক্রনের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারেনি। তাই নতুন এই ধরনের বিরুদ্ধে 'প্রতিরক্ষামূলক স্তর' অর্জনে ফাইজার-বায়োটেকের একটি বুস্টার ডোজ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে পরামর্শ দেওয়া হয়।
সিনোভ্যাকের করোনাভ্যাক এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সিনোফার্মের বিবিআইবিপি-কর্ভ হল চীনে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত দুটি টিকা, যা দেশটি রপ্তানিও করছে সারাবিশ্বে। এছাড়া, হংকংয়ে সিনোভ্যাক ও ফাইজার-বায়োটেক নির্মিত টিকা ব্যবহৃত হচ্ছে।
- সূত্র: রয়টার্স