খারকিভে প্রবেশ করছে রুশ প্যারাট্রুপার: ইউক্রেন সেনাবাহিনী
রাশিয়ার প্যারাট্রুপাররা অবরুদ্ধ দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে অবতরণ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী।
তবে, আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর খেরসনে বর্তমান পরিস্থিতি ঠিক কী, তা স্পষ্ট নয়। শহরটির স্থানীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ান সামরিক বাহিনী রাস্তায় অবস্থান করছে।
বিবিসি রাশিয়া অনুসারে, শহরের মেয়র ইগর কোলিখায়েভ স্থানীয় রেডিওকে জানান, রুশ বাহিনী মঙ্গলবার রাতে শহরের রেলওয়ে স্টেশন এবং বন্দর দখল করেছে।
"এখন লড়াই চলছে এবং আমাদের শহরের দখল চলছে," বলেন তিনি।
ইউক্রেনীয় সৈন্য এবং বেসামরিক নাগরিকসহ অনেক লোক নিহত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সরকারি কর্মকর্তারা বর্তমানে বাকিদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
খেরসনের জনসংখ্যা প্রায় ৩ লাখ। মাইকোলাইভ এবং নিউ কাখোভকার মধ্যে শহরটি অবস্থিত।
এখন পর্যন্ত রাশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক অগ্রগতি দেখা গেছে ইউক্রেনের দক্ষিণে। তবে, মাইকোলাইভের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শহরটি এখনও ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।
সপ্তম দিনের মতো ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন চলছে। পশ্চিমাবিশ্বের একাধিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১ মার্চ) রুশ বাহিনী ইউক্রেনের জনাকীর্ণ শহুরে এলাকাগুলোতে আক্রমণ বাড়িয়েছে। এ আক্রমণকে ইউক্রেনের নেতা ভলোদিমির জেলেনস্কি 'নির্লজ্জ সন্ত্রাসী কার্যক্রম' বলে অভিহিত করেন।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বলেছেন, রাশিয়ার এই আগ্রাসনের জন্য 'মূল্য' দিতে হবে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের সেন্ট্রাল স্কোয়ারে হামলা এবং রাজধানী কিয়েভের একটি টিভি টাওয়ারে মারাত্মক বোমা হামলার পর প্রতিজ্ঞা করে বলেন, "কেউ ক্ষমা করবে না। কেউ ভুলবেও না।"
এদিকে, বইডেন পশ্চিমা জোটের সংকল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি তার ভাষণে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে পুনরায় সজ্জিত এবং রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপে কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে পুরো বিশ্ব থেকে তিনি আগের চেয়েও আরও বেশি বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন।
"আমাদের ইতিহাস জুড়ে আমরা একটি জিনিস শিখেছি; যখন স্বৈরশাসকদের তাদের আগ্রাসনের জন্য মূল্য চুকাতে হয় না, তখন তারা আরও বেশি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তারা আগ্রাসন চালাতেই থাকে। আমেরিকাসহ পুরো বিশ্বের জন্য ক্ষয়ক্ষতি এবং হুমকি ক্রমাগত বাড়ছে", যোগ করেন তিনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার ভাষণের প্রথম ১২ মিনিট ইউক্রেনকে উৎসর্গ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ সময় তিনি ইউক্রেনের সেনা ও সাধারণ নাগরিকদের সাহসিকতার প্রশংসা করেন এবং রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা জানান।
সূত্র: এপি ও বিবিসি