দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে গভীর হচ্ছে পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতি সংকট
নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় মার্চ মাসে পাকিস্তানের ভোক্তা মূল্য সূচক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.৭ শতাংশে, ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ১২.২ শতাংশ।
পাকিস্তান ভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, গত এক মাসে পাকিস্তানে পরিবহন মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি জামা-কাপড় ও জুতার দামও লাফিয়ে বেড়েছে।
গত শুক্রবার পাকিস্তান পরিসংখ্যান ব্যুরোর (পিবিএস) প্রকাশিত তথ্য বলছে, ২০২১ সালের একই মাসে এ হার ছিল ৯.১ শতাংশ।
দেশটিতে নয় মাসে (২০২১ সালের জুলাই- ২০২২ সালের মার্চ) গড় মূল্যস্ফীতি ১০.৭৭ শতাংশ। এর আগের বছর একই সময়ে হার ছিল ৮.৩৪ শতাংশ।
যে সব পণ্যের দাম বেড়েছে এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি খাদ্য ও পানীয়র, ৩৪.৫৮ শতাংশ। হাউজিং, পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ক্ষেত্রে এ হার ২৩.৬৩ শতাংশ।
এদিকে, ২০২২ সালের মার্চে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় শহর পর্যায়ে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১.৯ শতাংশে, এর আগের মাসে বেড়ে হয়েছিল ১১.৫ শতাংশ। ২০২১ সালের মার্চে এ হার ছিল ৮.৭ শতাংশ।
একইভাবে, ২০২২ সালের মার্চে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় গ্রাম পর্যায়ে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩.৯ শতাংশে, এর আগের মাসে বেড়ে হয়েছিল ১৩.৩ শতাংশ। ২০২১ সালের মার্চে এ হার ছিল ৯.৫ শতাংশ।
খাদ্য ও জ্বালানি পণ্য বাদে শহর পর্যায়ে সিপিআই আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৯ শতাংশে, গত মাসে ছিল ৭.৮ শতাংশ, এক বছর আগে ছিল ৬.৩ শতাংশ।
খাদ্য ও জ্বালানি পণ্য বাদে গ্রাম পর্যায়ে সিপিআই আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.৩ শতাংশে, গত মাসে ছিল ৯.৪ শতাংশ, এক বছর আগে ছিল ৭.৩ শতাংশ।
পাশাপাশি, পাইকারি মূল্য সূচক (ডব্লিউপিআই) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩.৮ শতাংশ, এক মাস আগে ছিল ২৩.৬ শতাংশ। গত বছরের মার্চে এ হার ছিল মাত্র ১৪.৬ শতাংশ।
এছাড়াও, এসপিআই সূচক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ শতাংশে, এক মাস আগে ছিল ১৮.৭ শতাংশ। গত বছরের মার্চে এ হার ছিল মাত্র ১৮.৭ শতাংশ।
মার্চ মাসে অন্যান্য অনেক পণ্যের মধ্যে মুরগীর দাম বেড়েছে ৩৩.৬ শতাংশ, ফলের ১৫.১৭ শতাংশ, সরিষা তেলের ৮.৭৩ শতাংশ, ভেজিটেবল ঘিয়ের ৮.৩২ শতাংশ, পেঁয়াজের ৭.০১ শতাংশ, ভোজ্যতেলের ৫.০৫ শতাংশ এবং তরলীকৃত জ্বলানী গ্যাসের দাম বেড়েছে ৭.৮ শতাংশ।