আবু জায়েদসহ সবাই করোনা নেগেটিভ
জাতীয় দল, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ-সাপোর্ট স্টাফ, সোনারগাঁও হোটেলের কর্মচারীসহ ১০৫ জনের করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এদের সবাই করোনা নেগেটিভ হয়েছেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর করোনায় আক্রান্ত হওয়া জাতীয় দলের পেসার আবু জায়েদ রাহিও ৮ দিনের মাথায় করোনা নেগেটিভ হয়েছেন। বিসিবির একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
করোনা নেগেটিভ হলেও বৃহস্পতিবার জাতীয় দলের অনুশীলনে অংশ নেননি ডানহাতি এই পেসার। এখনও পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। ৪-৫ দিন পর আরেকটি টেস্টে নেগেটিভ হলে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারবেন আবু জায়েদ। সময় পাওয়ায় কয়েকদিনের জন্য বাড়ি গেছেন তিনি। ঢাকা ফিরে করোনা পরীক্ষা দিয়ে অনুশীলন শুরু করবেন তিনি। বিসিবির আয়োজন করা দুই দিনের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের কোনোটিই খেলা হবে না তার।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে আবু জায়েদ বলেন, 'আমি করোনা নেগেটিভ হয়েছি। আরেকটি টেস্ট আছে আমার। আরও ৪-৫ দিন পর টেস্ট করিয়ে নিশ্চিত হতে হবে। এটা নিয়মের মধ্যেই আছে। ওই টেস্টে নেগেটিভ এলে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারব। এখন আইসোলেশনে নেই। বের হতে পারব রুম থেকে, আলাদা করে অনুশীলন করতে পারব।'
'এখন ঝুঁকি নেই, তারপরও এটা স্বাস্থ্য বিধির অংশ। প্রথম থেকে আইসোলেশনে থাকার ২১ দিনের মাথায় আরেকটা টেস্ট করাতে হবে আমার। দুই দিনের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ হবে। এই দুই ম্যাচে আমার খেলা হবে না। এখনই খেলতে পারব না, অনুশীলনের প্রয়োজন আছে।'
স্কিল ক্যাম্পের বাকি ২৬ ক্রিকেটার বৃহস্পতিবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে চেক ইন করেছেন। এখানে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকেই আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত অনুশীলন করবেন ক্রিকেটাররা। স্কিল ক্যাম্পের দ্বিতীয় দফায় দুটি দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন তামিম, মুশফিক, মুমিনুলরা। প্রথম ম্যাচটি ২ অক্টোবর মিরপুর স্টেডিয়ামে শুরু হবে। দ্বিতীয় ম্যাচটি ৫ ও ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।
অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ২৮ ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের সবাই করোনা নেগেটিভ হয়েছেন। বুধবারই যুবাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিকেএসপিতে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে তাদের স্কিল ক্যাম্প। চার সপ্তাহের এই ক্যাম্পে ১৭, ১৮, ২২, ২৪ ও ২৬ অক্টোবর ৫টি ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলবে তারা। ক্যাম্পের শুরু থেকেই থাকবেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান কোচ নাভিদ নেওয়াজ ও ট্রেনার রিচার্ড স্টনিয়ের।