ইংল্যান্ড-ভারত পঞ্চম টেস্ট হবে ২০২২ সালের জুলাইয়ে
এ বছরের সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ড ও ভারতের মধ্যকার স্থগিত হওয়া পঞ্চম টেস্ট ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ২০২২ সালের জুলাইয়ে। পূর্ব-নির্ধারিত ভেন্যু ম্যানচেস্টার হলেও, ম্যাচটির নতুন ভেন্যু হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে এজবাস্টনকে।
ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) ও দ্য বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)-এর মধ্যে এক চুক্তির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে প্রথম চার ম্যাচ শেষে ভারত এগিয়ে রয়েছে ২-১ ব্যবধানে। প্রথম ম্যাচটি ড্র হওয়ার পর সিরিজের দ্বিতীয় ও চতুর্থ ম্যাচ ভারত জিতেছে যথাক্রমে ১৫১ ও ১৫৭ রানে। তবে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটিতে ইনিংস ও ৭৬ রানে জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড।
"সূচিগত জটিলতার কারণে ম্যাচটি এমিরেটস ওল্ড ট্রাফোর্ডে আয়োজন করা সম্ভব না। সেখানে আগে থেকেই অন্যান্য ইভেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে, ফলে একটি টেস্ট ম্যাচের পিচ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত সময় তারা পাবে না," একটি মিডিয়া রিলিজে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছে ইসিবি।
নতুন করে সূচি তৈরির ফলে ইংল্যান্ড ও ভারতের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে মূল সূচির ছয়দিন পর। টি-টোয়েন্টি সিরিজটি শুরু হবে ৭ জুলাই, এজিয়াস বোলে। অপরদিকে ওয়ানডে সিরিজটি শুরু হবে ১২ জুলাই, ওভালে।
স্থগিত হওয়া পঞ্চম টেস্ট ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের ১০ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর, ওল্ড ট্রাফোর্ডে। কিন্তু নিজেদের শিবিরে কোভিড-১৯ শনাক্তের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কায় ভারত ম্যাচটি স্থগিত করে।
ম্যাচ স্থগিতের সিদ্ধান্তটি আসে ভারতের সহকারী ফিজিও যোগেশ পারমার কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার পর। এর আগে থেকেই কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়ে বোলিং কোচ ভরত অরুণ, ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধর এবং ফিজিও নিতিন প্যাটেলের সঙ্গে আইসোলেশনে ছিলেন ভারতের প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী।
ইসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টম হ্যারিসন বলেন, "আমরা খুবই খুশি বিসিসিআইয়ের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে পেরে। এর মাধ্যমে এখন পর্যন্ত অসাধারণ একটি সিরিজের যথোপযুক্ত সমাপ্তি টানা সম্ভব হবে।"
এছাড়া তিনি ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (সিএসএ)-কেও ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তাদের সাহায্য ছাড়া এসব পরিবর্তন আনা সম্ভব হতো না।
"আমরা জানি একটি বাড়তি ম্যাচ আয়োজনের অর্থ হলো সাদা বলের সিরিজের জন্য শিডিউলকে অনেক টাইট করে ফেলা। আমরা চেষ্টা করব আগামী বছরও আমাদের খেলোয়াড়দের কল্যাণ ও নিয়ন্ত্রিত ওয়ার্কলোড নিশ্চিত করার। পাশাপাশি ভক্ত, খেলোয়াড় ও আমাদের সহযোগী নির্বিশেষে সকলের জন্য সর্বাপেক্ষা অনুকূল সূচি নির্ধারণও আমরা অব্যাহত রাখব।"
এদিকে বিসিসিআই সচিব জয় শাহ বলেছেন, "আমি অত্যন্ত উৎফুল্ল যে ইংল্যান্ড-ভারত টেস্ট সিরিজের এবার একটি সঠিক পরিসমাপ্তি আসবে। প্রথম চারটি ম্যাচ ছিল খুবই শ্বাসরুদ্ধকর, তাই আমাদের সেরকমই ভালো একটি ফিনালেরও প্রয়োজন ছিল।
"বিসিসিআই খেলার এই ঐতিহ্যবাহী ফরম্যাটটিকে সম্মান করে, এবং অন্যান্য বোর্ড মেম্বারদের প্রতি নিজের দায়বদ্ধতা পূরণের ব্যাপারেও সবসময় সচেষ্ট থাকে। গত দুই মাস ধরে বিসিসিআই ও ইসিবি নিজেদের মধ্যে অনেকগুলো আলোচনায় অংশ নিয়েছে, এবং আমাদের এই প্রচেষ্টার মূল লক্ষ্য ছিল একটি মানানসই ফাঁকা সময় বের করা। একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধান অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে ইসিবি যে বিচারবুদ্ধি ও ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে, সেজন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।"
- সূত্র: ক্রিকবাজ