কেমন হবে ওমানে বাংলাদেশের জৈব সুরক্ষা বলয়
আগামী অক্টোবরে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটের এই আসরটির প্রথম পর্ব মাঠে গড়াবে ১৭ অক্টোবর। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম পর্ব বলা হলেও এটা মূলত বাছাইপর্ব। এই পর্ব খেলে সুপার টুয়েলভে জায়গা করে নিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলকে।
প্রথম পর্বে বাংলাদেশ 'বি' গ্রুপে খেলবে, প্রতিপক্ষ ওমান, পাপুয়া নিউগিনি এবং স্কটল্যান্ড। প্রথম দিনই স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচ ১৭ অক্টোবর হলেও অক্টোবরের ৩-৪ চার তারিখ ওমানে যাওয়ার কথা বাংলাদেশ দলের। ক্যাম্প করে অনুশীলন করার পাশাপাশি অনুশীলন ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা বাংলাদেশের।
ওমানে গিয়েই আইসিসির তৈরি করা বিশ্বকাপের জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢোকার সুযোগ নেই। আইসিসির জৈব সুরক্ষা বলয়ের প্রক্রিয়া শুরু হবে আরও পরে। বাংলাদেশকে নিজ দায়িত্বে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকতে হবে। এর পাশাপাশি আর কী নির্দেশনা, সেটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে এ নিয়ে প্রাথমিক ধারণা দিয়েছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী।
তিনি বলেন, 'বিশ্বকাপের অফিসিয়াল যে সাপোর্ট, সেটা ৯-১০ সেপ্টেম্বর শুরু হবে। আগে বাংলাদেশ দল নিজের খরচে এবং নিজের তত্বাবধানে তাদের অনুশীলন সম্পন্ন করবে। এ ব্যাপারে ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশন্স এবং ওমান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। আমরা আশা করছি আগামী দুই একদিনের মধ্যে একটা পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা আমরা জানতে পারব।'
'ওমানে থাকাকালীন সময়ে আমরা কীভাবে পরিকল্পনা করব, আইসিসি বিশ্বকাপের মেডিকেল পরিকল্পনাও আমরা পূর্ণাঙ্গভাবে পাইনি। সব মিলিয়ে আমরা আশা করি আগামী দুই-একদিনের মধ্যে বিশ্বকাপের মেডিকেল পরিকল্পনা এবং ওমান থাকাকালীন কীভাবে আমরা এগোবো, সে ব্যাপারে একটা পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।' যোগ করেন তিনি।
দেবাশিষ চৌধুরী জানান, ভ্যাকসিন সম্পন্ন থাকাসহ করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে যেতে হবে সবাইকে। তিনি বলেন, 'আপাতত আমাদের কাছে যে তথ্য আছে ওমানের, এখান থেকে টেস্ট রিপোর্ট নিয়ে যেতে হবে। সবাইকে ভ্যাকসিন সম্পন্ন করতে হবে। যতটুকু জানি যে ওখানে ২৪ ঘণ্টার কোয়ারেন্টিনের কথা বলা আছে। এটা সম্পন্ন করে আমাদের অনুশীলন চালিয়ে যেতে পারবে।'
বিশ্বকাপ শুরুর আগে সব দলকে ছয় দিনের কোয়ারেন্টিন করতে হবে। কোনো দল যদি জৈব সুরক্ষা বলয় থেকে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলতে চায়, তাদের কোয়ারেন্টিন করতে হবে না। দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, 'আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী ছয়দিনের কোয়ারেন্টিন পালন করতে হবে। যে দল বাবল টু বাবল ট্রান্সফার হবে, তাদের জন্য ছয়দিনের কোয়ারেন্টিন প্রয়োজন নেই। তবে পূর্ণাঙ্গ নির্দেশনা আমরা পাইনি, পেলে আমরা জানাতে পারব।'