গ্যালারিতে গেলেই বদলে যাবে বল
বাংলাদেশে পৌঁছার আগে থেকেই বিসিবিকে শর্ত দিয়ে আসছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। বিসিবিকে তিনটি শর্ত মানিয়ে সফরে এসেছে অজিরা। বাংলাদেশে এসেও একের পর এক শর্ত দিয়ে যাচ্ছে তারা। অস্ট্রেলিয়ার দাবি, বাংলাদেশ দল পানি ছাড়া মাঠে কোনো খাবার নিয়ে আসতে পারবে না। এমনকি ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের ক্রিকেটার ও আম্পায়ারদের সঙ্গে হাতও মেলাবে না তারা। অস্ট্রেলিয়ার দুটি দাবিই মেনে নিয়েছে বিসিবি।
এবার সফরকারীদের দাবি, ম্যাচ চলাকালীন গ্যালারিতে কোনো বল গেলে সেটা দিয়ে আর খেলা যাবে না, নিতে হবে নতুন বল। আগের সব দাবির মতো এই দাবিও মেনে নিয়েছে বিসিবি। বিসিবি মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে বললেও ভুল হবে না। সিরিজটি আয়োজন করতে মরিয়া বিসিবি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সব শর্তই একেএকে মেনে নিচ্ছে।
করোনাকালে বল গ্যালারিতে গেলে সেটা স্যানিটাইজ করে ব্যবহার করা হয়। বল বদলে ফেলার নজির এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। ৩ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে এমনই দেখা যাবে। ম্যাচে ব্যাটসম্যানের মারা ছক্কা বা অন্য কোনো কারণে বল যদি গ্যালারিতে চলে যায়, সেই বলে আর খেলা হবে না। কাছাকাছি ব্যবহৃত অন্য বলে খেলা চালানো হবে। তবে গ্যালারিতে যাওয়া বলটি পরের ম্যাচে ব্যবহার করা যাবে।
যতোবার গ্যালারিতে যাবে, ততোবার বদলে যাবে বল। বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেছেন বিসিবির এক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, 'করোনাকাল হওয়ায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অনেক দাবি শর্ত মেনে নিতে হয়েছে বিসিবি। এই শর্তও বিসিবি মেনে নিয়েছে। গ্যালারিতে গেলে সেই বল আর ব্যবহার করা হবে না। কাছাকাছি ব্যবহৃত অন্য বল দেওয়া হবে। গ্যালারিতে যাওয়া বল স্যানিটাইস করে মাঠে ফেরানোর সুযোগ নেই।'
এ কারণে সোমবার মাঠে ব্যস্ত সময় কাটাতে হয়েছে আম্পায়ারদের। ম্যাচের অবস্থার ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন অবস্থার ব্যবহৃত বল সংগ্রহ করতে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের অনুশীলনে ছিলেন আম্পায়াররা। ৫, ১০, ১৫ বা ১৮ ওভারের সময় বল গ্যালারিতে গেলে যে পরিমাণ ব্যবহৃত বল দিতে হবে, সোমবার তেমন ব্যবহৃত বলগুলো কুড়িয়ে রেখেছেন আম্পায়াররা।
এর আগে বিসিবিকে তিনটি কঠিন শর্ত দেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্যে প্রথমটি ছিল বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন করবে না তারা। বিশেষ ব্যবস্থায় ইমিগ্রেশন করে তাদের পাসপোর্ট তিন দিনের মধ্যে ফিরিয়ে দিতে হবে। পরেরটি ছিল, তাদের হোটেলে অন্য কোনো অতিথি থাকতে পারবে না। তিন নম্বর শর্ত ছিল, এক ভেন্যুতেই সব ম্যাচ খেলতে হবে। এ ছাড়া ১০ দিনের কোয়ারেন্টিন বাধ্যবাধকতা তো ছিলই।