প্রিমিয়ার লিগে জৈব সুরক্ষা ভাঙলে কঠোর শাস্তি
দীর্ঘ বিরতির পর শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আগামী ৩১ মে থেকে শুরু হচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট আসরটি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) খরচে দলগুলোকে অভিজাত হোটেলে জৈব সুরক্ষা বলয়ে রেখে টুর্নামেন্ট পরিচালনা করা হবে।
টুর্নামেন্টের জৈব সুরক্ষা বলয় কেমন হবে, তা নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার ক্লাব কর্মকর্তা ও অধিনায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)। এখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, জৈব সুরক্ষা বলয় ভাঙলে দেওয়া হবে কঠোর শাস্তি। ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে আর্থিক জরিমানা ও বহিষ্কার এবং ক্লাবের ক্ষেত্রে পয়েন্ট কাটার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রথমবারের মতো এই শাস্তির বিধান রেখেছে বিসিবি।
এ বিষয়ে সিসিডিএমের সদস্য সচিব আলী হোসেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'আমরা আজ ক্লাব কর্মকর্তা ও অধিনায়কদের সঙ্গে বসেছিলাম। আমারা জৈব সুরক্ষা বলয়সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। ওইখানে একটা ক্লজ আছে যে, কেউ যদি জৈব সুরক্ষা বলয় ভাঙে, তাদের শাস্তি হবে।'
'আমাদের একটা টেকনিক্যাল কমিটি আছে, তারা এই শাস্তি নিশ্চিত করবে। অপরাধের ওপর নির্ভর করবে শাস্তির পরিমাণ। ক্রিকেটারদের আর্থিক জরিমানা বা বহিষ্কার করা হতে পারে এবং ক্লাবের পয়েন্ট কেটে নেওয়া হতে পারে। এটা সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং এই সংক্রান্ত কাগজপত্র সবাইকে দেওয়া হয়েছে।' যোগ করেন তিনি।
জৈব সুরক্ষা বলয় নিয়ে তিনি আরও বলেন, 'জৈব সুরক্ষার একটা প্রটোকল আছে, সেই অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই টুর্নামেন্টটা এবারই প্রথম জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। জৈব সুরক্ষা বলয় যেন কোনোভাবেই না ভাঙে, এ কারণে শাস্তির ব্যবস্থা। ক্রিকেটাররা খেলতে চাচ্ছেন, ক্লাবগুলোরও আন্তরিক আছে। তবে সবার আগে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চেয়েছি আমরা।'
এবার অভিজাত হোটেলে রাখা হবে দলগুলোকে। ক্রিকেটারদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে হোটেলে আলাদা সময়ে জিম ও সুইমিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হবে। এমনকি লিফট ব্যবহারেও অতি মাত্রায় সাবধানতা অবলম্বন করা হবে। হোটেলে ক্রিকেটাররা যে লিফট ব্যবহার করবেন, সেটা ব্যবহারের অনমতি অন্য কারও থাকবে না।
আলী হোসেন বলেন, 'এবার অভিজাত হোটেলে রাখা হচ্ছে দলগুলোকে। প্রতিটা হোটেলে আমাদের একজন ডাক্তার থাকবেন। এ ছাড়া আমাদের সিডিএমের একজন প্রতিনিধিও থাকবেন। কেউ যেন জৈব সুরক্ষা বলয় না ভাঙতে পারে, এটা তারা তদারকি করবেন। হোটেলে জিম, সুইমিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্রিকেটারদের জন্য আলাদা করে সময় দেওয়া থাকবে। এমনকি লিফটও ক্রিকেটাররা আলাদাভাবে ব্যবহার করবেন।'
গত মঙ্গলবার ১২টি ক্লাবের ক্রিকেটার, কোচ, কর্মকর্তাদের কোভিড-১৯ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। জানা গেছে, ৯ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। বৃহস্পতিবার আবার তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এই পরীক্ষার ফলাফল শুক্রবার হাতে পাবে বিসিবি। গত বছর মার্চে প্রিমিয়ার লিগের একটি রাউন্ডের খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর করোনাভাইরাসের প্রকোপে আসরটি স্থগিত করা হয়।