লুই ফন গালের নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলতে মুখিয়ে আছেন আর্জেন্টাইন কোচ
কাতার বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ের পর আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি বলেছেন, নেদারল্যান্ডসের কোচ লুই ফন গালের বিপক্ষে খেলার জন্যই অপেক্ষা করছিলেন তিনি।
কাতারের আহমাদ বিন আলী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসি এবং হুলিয়ান আলভারেজের দুটি গোল আর্জেন্টিনাকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে আসে, যদিও এনজো ফার্নান্দেজ নিজেদের জালেই গোল করে বসলে কিছুটা বিচলিত হয়ে পড়ে আর্জেন্টিনা। তবে শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে স্কালোনির দল।
আগের দিন নেদারল্যান্ডস যুক্তরাষ্ট্রকে ৩-১ গোলে হারিয়ে কোয়ারর্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে। তাই আসছে শুক্রবার শেষ আটের লড়াইয়ে ডাচদের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।
নিজে খেলোয়াড় থাকাবস্থায় যাকে আদর্শ মানতেন, অনুসরণ করতেন; এবার এমন একজন কোচের বিরুদ্ধে লড়াই করার সুযোগ পেয়েছেন ৪৪ বছর বয়সী স্কালোনি।
৭১ বছর বয়সী ফন গালকে নিয়ে স্কালোনি বলেছেন, "তিনি যখন বার্সেলোনার কোচ ছিলেন তখন আমি দেপোর্তিভো লা করুনায় ছিলাম। সে সময়ে তিনি একজন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। আমি এবার তার বিপক্ষে খেলার সুযোগ পেয়ে ভালো লাগছে। আমরা সবাই জানি তিনি ফুটবলের জন্য কী অবদান রেখেছেন।"
স্কালোনি দেপোর্তিভো দলের অংশ ছিলেন যেটি ফন গালের বার্সেলোনাকে হারিয়ে ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমের লা লিগা শিরোপা জিতেছিল। স্কালোনির মতে, এই ডাচ দল আগের প্রজন্মের মতো প্রতিভাবান নয় কিন্তু তবুও আর্জেন্টিনার সাথে কঠিন লড়াইয়ের শঙ্কা তিনি উড়িয়ে দেন না।
স্কালোনির ভাষ্যমতে, "এই দলটি আগের ডাচ দলের মত উজ্জ্বল নয়, তবে তারা নিজেদের সামর্থ্য সম্পর্কে জানে।দুটি ঐতিহাসিক দলের মধ্যে একটি দুর্দান্ত ম্যাচ হবে এই ম্যাচটি। একটি দল বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাবে, আমরা আশা করছি আমরা এগিয়ে যাবো।"
অস্ট্রেলিয়ান দলের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই স্কালোনি মনে করেন, সকারুরা দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে। আর্জেন্টিনা ম্যাচে প্রভাব বিস্তার করে খেললেও চাপে পড়েছে শেষ মিনিট পর্যন্ত। এমিলিয়ানো মার্তিনেজ রক্ষা না করলে হয়তো ম্যাচে সমতাও চলে আসতো, খেলা টাইব্রেকারে গড়াতো।
"আমরা সন্তুষ্ট, সর্বোপরি অস্ট্রেলিয়ার সাথে ম্যাচটি খুব কঠিন ছিল। শেষ মিনিটের উত্তেজনা শ্বাসরুদ্ধকর ছিল। যদিও আমরা এরকম ফিনিশিং আশা করিনি, আমাদের লিড বাড়ানোর সুযোগ ছিলো", বলেন স্কালোনি।
স্কালোনির সামনে হয়তো আরও তিনটি ম্যাচ অপেক্ষা করছে অথবা পরের ম্যাচেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হবে। কঠিন মুহূর্তে স্টেডিয়ামে অগণিত সমর্থকদের উপস্থিতি অনুপ্রেরণা যোগায় বলেও মনে করেন তিনি। গোল করার পর খেলোয়াড়রা যখন দর্শকদের কাছাকাছি এসে উল্লাস করেন, এই অনুভূতি স্কালোনির অতি পরিচিত!
সূত্র: বুয়েনোস আইরিস টাইমস