শ্রীলঙ্কায় অনুশীলনে পরীক্ষা দিতে হবে তামিম-মুমিনুলদের
তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে শ্রীলঙ্কা যাবে বাংলাদেশ দল। প্রথম টেস্ট ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কোয়ারেন্টিন ও অনুশীলনের বিষয়টি মাথায় রেখে মাস খানেক আগেই শ্রীলঙ্কা পৌঁছাবে বাংলাদেশ। এরআগে ১০-১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঘোষণা করা করা হবে ২০-২২ সদস্যের প্রাথমিক দল।
প্রাথমিক দলটি নিয়েই শ্রীলঙ্কা যাওয়ার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। জাতীয় দলের সফরসঙ্গী হবে হাই পারফরম্যান্স দল (এইচপি)। শ্রীলঙ্কায় গিয়ে এইচপির সঙ্গে কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পর মূল স্কোয়াড ঘোষণা করা হবে বলে জানান প্রধান নির্বাচক।
পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি দল গঠনে অভিজ্ঞতার গুরুত্ব থাকবে জানিয়ে বৃহস্পতিবার মিনহাজুল আবেদীন বলেন, 'জিম্বাবুয়ে সিরিজে আমরা শেষবারের মতো টেস্ট খেলেছি। অনেকদিন ধরে আমাদের খেলা নেই, অনুশীলনের মধ্যেও নেই। তারপরও অভিজ্ঞতাটাকে আমরা অনেক গুরুত্ব দিচ্ছি। শ্রীলঙ্কা গিয়ে আমাদের অনেকগুলো প্রস্তুতি ম্যাচ আছে, ওখানেই আমরা মূল স্কোয়াডটা ঘোষণা করব।'
শারীরিক-মানসিক দিক থেকে ক্রিকেটাররা কতটা ফিট আছেন, সেটা ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করবেন বিসিবির নির্বাচকরা। এটা দেখার পরই মূল স্কোয়াড গঠন করা হবে। অর্থাৎ, শ্রীলঙ্কায় গিয়ে এক ধরনের পরীক্ষা দিয়েই জাতীয় দলে জায়গা নিতে হবে তামিম, মুশফিক, মুমিনুলদের।
প্রধান নির্বাচক বলেন, 'প্রাথমিক দল নিয়ে সেখানে যাব, শ্রীলঙ্কায় ট্রেনিং সেশনটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই পাঁচ মাস সবার লম্বা বিরতি ছিল। কে কত দ্রুত সেরে উঠে, মানসিকভাবে নিজেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের জন্য প্রস্তুত করতে পারছে, এগুলো দেখা হবে। এখান থেকে ২০-২২ জন নিয়ে যাচ্ছি। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পুরো স্কোয়াডটা প্রস্তুত করব। এরপর সেখানে গিয়ে মূল স্কোয়াড দিব।'
এরআগে ক্রিকেটারদের করোনা পরীক্ষা করা হবে কয়েক দফায়। বিসিবির পরিকল্পনা, ৩৮ জনের পুলের সব ক্রিকেটারের করোনা পরীক্ষা করা। মিনহাজুল আবেদীন বলেন, 'আমাদের একটা পুল আছে ৩৮ জনের। সবাইকে কোভিড টেস্ট করানো হবে। এটা আমরা ব্যাকআপ হিসেবে প্রস্তুত রাখছি।'
'সাথে ২৪জনের এইচপি স্কোয়াডও সেখানে যাচ্ছে। ওইভাবেই আমরা ভারসাম্য করে রাখছি, যাকে যখন দরকার হবে ব্যবহার করা হবে। দেশে তিনবার করোনা পরীক্ষা করে সেখানে গিয়ে আরেকটা পরীক্ষা হবে। আসলে দুইবার টেস্ট না করলে তো বোঝা যাবে না, কে নেগেটিভ আছে।'