সাকিব-মুশফিকদের দেখে অবাক ইয়াসির রাব্বি
শারীরিক গঠনে তিনি সবার চেয়ে আলাদা। বাংলাদেশ দলে তার মতো দ্বিতীয় জন নেই। দীর্ঘদেহী হওয়ায় সহজেই ইয়াসির আলী রাব্বিকে আলাদা করা সম্ভব। এ কারণে অবশ্য অনুশীলনে ছাড় মেলে না তার। তবে গত দুই বছর ধরে জাতীয় দলের বিবেচনায় থাকা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানকে অনুশীলনে ব্যতিক্রম ভূমিকাতেও দেখা যায়।
দলের অনুশীলনে বাকিদের মতো রাব্বিকেও ঘাম ঝরাতে হয়। দীর্ঘদেহী হওয়ায় তাকে যেন একটু বেশিই গা-গতরে খাটতে হয়। ফিটনেস ধরে রাখার মিশনে অনুপ্রেরণা নেওয়ার জন্য বাইরে চোখ রাখতে হয় না জাতীয় দলে অনভিষিক্ত এই ক্রিকেটারকে। অনুশীলনেই পাশে পান মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসানদের মতো কঠোর পরিশ্রম করা ক্রিকেটারদের।
দলের সিনিয়র ক্রিকেটার হয়েও ফিটনেসে বিশেষ নজর থাকে মুশফিক-সাকিবদের। বিশেষ করে মুশফিকুর রহিম সারা বছর ফিটনেস বজায় রাখতে কঠোর পরিশ্রম করেন। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফেরা সাকিবকে অন্য রূপে দেখা গেছে, ওজন কমিয়ে নিজেকে আরও ফিট করে তুলেছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরাও মনোযোগ বাড়িয়েছেন ফিটনেসে।
সিনিয়র ক্রিকেটারদের এমন কঠোর পরিশ্রম দেখে অবাক হন ইয়াসির আলী রাব্বি। রীতিমতো বিস্ময় কাজ করে তার মাঝে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকা মিডল অর্ডার এই ব্যাটসম্যান মঙ্গলবার দলের সঙ্গে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছেন। অনুশীলনের আগে সিনিয়র ক্রিকেটারদের কঠোর পরিশ্রম নিয়ে বিস্ময়ের কথা জানান রাব্বি।
ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান বলেন, 'সিনিয়র ভাইদের আমি যতো দেখি, ততোই অবাক হই। তারা এই পর্যায়ে এসেও যে কঠোর পরিশ্রম করেন, বিশেষ করে সাকিব ভাই, তামিম ভাই, মুশফিক ভাই। মুশফিক ভাইয়ের কথা তো আমরা সবাই জানি। তামিম ভাই, সাকিব ভাই যেভাবে নিজেদের মেইন্টেইন করেন, সেটা অবাক করার মতো।'
'তাদের সঙ্গে আমি সব সময় কথা বলি ওইসব বিষয় নিয়ে যে, কীভাবে আপনারা নিজেদেরকে মেইন্টেইন করেন। এখন আসলে যে যুগ, যে প্রতিযোগিতা, নিজেকে ওই রকমভাবে মেইন্টেইন না করলে খেলাটা খুব কঠিন হয়ে যায়। তো সবাইকে দেখেই সবার কাছ থেকে ভালো ভালো জিনিস নেওয়ার চেষ্টা করছি।'
চট্টগ্রামের ছেলে ইয়াসির রাব্বি। ঘরের মাঠ থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলার শুরু করার অপেক্ষায় তিনি। সব মিলিয়ে অন্যরকম রোমাঞ্চ নিয়ে অপেক্ষায় আছেন তিনি, 'আমরা প্রায় এক বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছি। সেটাও চট্টগ্রাম থেকে, মানে আমার হোম টাউনে। তো অন্য রকম এক রোমাঞ্চ কাজ করছে। জানি না হয়তো একাদশে থাকার সুযোগ হবে কি না, কিন্তু এটা একটা ভালো লাগার বিষয় যে আমি দলের সঙ্গে আছি।'
রোমাঞ্চের আরও জায়গা আছে রাব্বির। চার সিনিয়রকে একসঙ্গে পেয়ে উচ্ছ্বাসের শেষ নেই তার, 'যখন শুরু হচ্ছিলো আমাদের এই ক্যাম্প, অনেক রোমাঞ্চিত ছিলাম। কারণ আমি আগে সাকিব ভাই, মুশফিক ভাই, তামিম ভাই, রিয়াদ ভাইদের এক সঙ্গে কখনও পাইনি। ওয়ানডে সিরিজের ক্যাম্প থেকেই খুব রোমাঞ্চিত ছিলাম যে আমি তাদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করে নিতে পারছি। এখন টেস্টে এসে উনাদের তিনজনকে আবার পাচ্ছি। সত্যিই আমি রোমাঞ্চিত।'