স্বপ্ন পূরণের উচ্ছ্বাস নিয়ে সাদমানের বাড়ি ফেরা
জাতীয় দলে তিনি নিয়মিত, তবে একটি ফরম্যাটে। কেবল টেস্ট খেলারই সুযোগ মেলে সাদমান ইসলাম অনিকের। এ নিয়ে অবশ্য আক্ষেপ নেই বাঁহাতি এই ওপেনারের। তার চিন্তা-চেতনায় কেবল ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাটটিই। এই ফরম্যাট ঘিরেই সাদমানের সব স্বপ্ন। অনেক স্বপ্নের একটি পূরণ হয়েছে তার। বাংলাদেশের এই ব্যাটসম্যান জিম্বাবুয়েতে দেখা পেয়েছেন প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি টেস্ট ছিল বাংলাদেশের। প্রতিপক্ষ তুলনামূলকভাবে কম শক্তিশালী হলও কন্ডিশন ছিল চিন্তার কারণ। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশের ইনিংস মুখ থুবড়ে পড়েছিল। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাসকিন আহমেদের ব্যাটিংয়ে বিপদ উদ্ধার হয়। আর দ্বিতীয় ইনিংসে সাদমান ও নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে অনেক এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
ক্যারিয়ারের অষ্টম টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন সাদমান। আর টেস্ট সেঞ্চুরি করার স্বপ্ন পূরণ হলো ইনজুরি কাটিয়ে দলের ফেরার ম্যাচেই। মঙ্গলবার দেশে ফিরে উচ্ছ্বাসের কথা জানালেন তিনি। সাদমানের সঙ্গে দেশে ফিরেছেন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাইফ হাসান, নাঈম হাসান ও ইয়াসির আলী। প্রস্তুতির সহায়তার জন্য দলের সঙ্গে রেখে দেওয়া হয়েছে দুই পেসার আবু জায়েদ রাহি ও এবাদত হোসেনকে।
প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করা নিয়ে সাদমান বলেন, 'সব ব্যাটসম্যানেরই স্বপ্ন থাকে প্রথম ১০০। ওই রকম প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, আশায় ছিলাম যে ইনশা আল্লাহ একদিন হবে। জিম্বাবুয়েতে সেরাটা দিতে পেড়েছি, তাই একটা ভালো ফল এসেছে। এটা দলের জন্যও ভালো হয়েছে, দল জিতেছে। জয় নিয়ে দেশে ফিরেছি।'
চ্যালেঞ্জিং কন্ডিশন হলেও সাদমানদের বিশ্বাস ছিল, জিম্বাবুয়ের চেয়ে বাংলাদেশ ভালো দল। তিনি বলেন, 'ওদের কন্ডিশনে অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে আমরা সব সময়ই মনে করেছি যে, আমরা ওদের চেয়ে ভালো দল। আমাদের প্রস্তুতিটাও ভালো ছিল। আমাদের শুরুটা দারুণ হয়েছিল। রিয়াদ ভাই, তাসকিন, মুমিনুল ভাই, সবাই আমাদের জন্য কাজটা আরও সহজ করে দিয়েছিলেন।'
'প্রথম ইনিংসের তুলনায় দ্বিতীয় ইনিংসের উইকেট একটু অন্যরকম ছিল। তবে আমাদের কাছে মনে হয়েছে আমরা যদি ভালো একটা লক্ষ্য ওদের দিতে পারি তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে। ম্যাচটা জিততে পারব।' যোগ করেন তিনি।
২২০ রানের জয় পাওয়া হারারে টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষে টিম মিটিংয়ে টেস্ট ছাড়ার কথা জানান মাহমুদউল্লাহ। এতে দলের জয়ের ক্ষুধা বেড়ে যায় বলে জানান সাদমান। বাংলাদেশ ওপেনার বলেন, 'আমরা জানতাম না যে রিয়াদ ভাই এমন কিছু বলবেন। উনি বলার পর আমাদের ভালো করার ইচ্ছাটা আরও বেড়ে গিয়েছিল। মনে হয়েছিল যে উনার জন্য হলেও ম্যাচটা জিততে হবে।'