‘শচীনকে না চেনাই উচিত, এমন শচীনকে আমরাও চিনি না’
ভারতের চলমান কৃষক আন্দোলন নিয়ে মন্তব্যের কারণে ক্রিকেট কিংবদন্তী শচীন টেন্ডুলকারের উপর ক্ষেপেছেন আন্দোলনের সমর্থক ভারতীয়রা।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দিল্লির কৃষক আন্দোলন নিয়ে রিহানা-গ্রেটাদের মতো আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বের নাক গলানো পছন্দ হয়নি শচিনের। তিনি কৃষক আন্দোলন বিরোধী কোনও কথা না বললেও ভারতের অভ্যন্তরীণ সমস্যা ভারতীয়রাই সমাধান করতে পারবে বলে সামাজিক মাধ্যমে মন্তব্য করেন।
শচিনের এমন টুইটের পরই কৃষক অন্দোলনের সমর্থকরা সামাজিক মাধ্যমে মুণ্ডপাত শুরু করেন টেন্ডুলকারের। এমনকি ২০১৪ সালের একটি বিতর্কিত প্রসঙ্গকেও খুঁচিয়ে তুলতে দেখা যায় অনেককে।
২০১৪ সালে রাশিয়ান টেনিস তারকা মারিয়া শারাপোভা মন্তব্য করেছিলেন, তিনি শচীনকে চেনেন না। টেন্ডুলকারের অনুরাগীরা সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় শারাপোভার সমালোচনায় মেতে উঠেছিলেন। তাদের মধ্য থেকেই কিছু মানুষ এখন টুইট করে শারাপোভার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছেন। তাদের দাবি, শারাপোভার শচীনকে না চেনা অবাস্তব কিছু নয়। কেননা, এমন শচীনকে নাকি তারাও চেনেন না।
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, কয়েকজন ব্যবহারকারী টুইটারে লেখেন, 'ভাগ্য ভালো শচীনকে না চেনার জন্য সেই সময় মারিয়ার সমালোচনা করিনি।' কেউ আবার টেন্ডুলকারকে 'আম্বানির পোষা কুকুর' বলেও কটুক্তি করেছেন। যদিও শচিনের সমর্থকরা এমন কটুক্তি করা নেটিজেনদের পালটা জবাব দিচ্ছেন।
ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে আন্তর্জাতিক পপ সেনসেশন রিহানা টুইটারে প্রশ্ন করেন, 'কেন আমরা এই বিষয়ে (ভারতের কৃষি আন্দোলন) কথা বলছি না?'
মঙ্গলবার সকলকে অবাক করে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে রিহানা ভারতের কৃষক বিক্ষোভ সংক্রান্ত সিএনএন-এর খবরের একটি লিঙ্ক পোস্ট করেন। সেখানে লেখা রয়েছে, ভারতের রাজধানী দিল্লির একাধিক অঞ্চলে ইন্টারনেট পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার কথা, লেখা রয়েছে ২৬ শে জানুয়ারি বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের প্রজাতন্ত্র দিবসে পুলিশ ও বিক্ষুদ্ধ কৃষকদের খন্ডযুদ্ধের পরিস্থিতির কথা।
এর প্রেক্ষিতে ভারতীয় কিংবদন্তী শচীন টেন্ডুলকার তার টুইটে লেখেন, 'ভারতের সার্বভৌমত্ব নিয়ে আপোষ করা সম্ভব নয়। বহির্বিশ্ব দর্শকের ভূমিকায় থাকতে পারে, নিয়ন্ত্রক হতে পারে না। ভারতীয়রাই ভারতকে যথাযথ চেনে এবং কী করা উচিত জানে। আসুন, জাতি হিসেবে আমরা ঐকবদ্ধ থাকি।'