ডমিঙ্গোর দর্শনে আস্থা নেই বাংলাদেশের
ফরম্যাট ভেদে অধিনায়ক নির্বাচন করা হলেও কোচের ক্ষেত্রে সেই রীতি নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে। প্রধান কোচ হিসেবে গোটা দলের দায়িত্বেই আছেন রাসেল ডমিঙ্গো। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি; তিন ফরম্যাটেই দলের দেখভাল করেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ। তবে টি-টোয়েন্টিতে ডমিঙ্গোর চিন্তা-ভাবনার সঙ্গে দলের মিলছে না। এ কারণেই টি-টোয়েন্টি দল নিয়ে নতুনভাবে ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ শক্তিশালী দল নয়; ক্রিকেটার থেকে শুরু করে দল সংশ্লিষ্ট সবাই এটার সঙ্গে একমত। না হয়ে উপায় কী! সংক্ষিপ্ততম এই ফরম্যাটে এখনও আলোর পথ খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ। কীভাবে উন্নতি করা যায়, হন্যে হয়ে সেই পথ খুঁজে চলেছে বিসিবি। এই পথে যেহেতু ডমিঙ্গোর দাওয়াই কাজে আসছে না, তাই টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে শ্রীধরন শ্রীরামকে।
টি-টোয়েন্টিতে ডমিঙ্গোর দর্শনের সঙ্গে দলের মিলছে না বলেই শ্রীরামকে বিশেষ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান সুজন। তবে এই ফরম্যাটের উন্নতিতে বাংলাদেশ দলে ভারতীয় এই কোচের সংযোজনে সমস্যা দেখেন না তিনি। জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়কের মতে, দেশের ক্রিকেটের স্বার্থে ভিন্ন দর্শনে আস্থা রেখে চেষ্টা করা যেতেই পারে।
শনিবার মিরপুরে সুজন বলেন, 'প্রতিটা মানুষেরই আলাদা চিন্তা-ভাবনা থাকে। আমার ফিলোসফি (দর্শন) আলাদা, আপনার ফিলোসফি আলাদা। তেমনি কোচের ফিলোসফিও আলাদা। তবে ওর (ডমিঙ্গো) ফিলোসোফি যেটা, সেটা হয়তো আমাদের সঙ্গে মিলছে না। এটা তো আসলে কথা বলে হবে না। বোঝাই যাচ্ছে যে আমরা টি-টোয়েন্টিতে পারফর্ম করতে পারছি না। সুতরাং দেশের জন্য, ক্রিকেটের জন্য যদি ভিন্ন ফিলোসফি আসে, তাহলে অসুবিধা কী! দেখা যাক কী হয়।'
টি-টোয়েন্টির উন্নতিতে শ্রীরামকে নিয়োগ দেওয়া হলেও প্রধান কোচের পদে যে কোনো পরিবর্তন আসছে না, সেটা নিশ্চিত করেছেন সুজন। এ ছাড়া বিসিবির এই সিদ্ধান্তে ডমিঙ্গোর কোনো আপত্তি আছে বলে মনে করেন না তিনি। বিসিবির এই পরিচালক বলেন, 'রাসেলের সাথে ওইভাবে কথাই হয়নি। সে অনেক পেশাদার। যেহেতু বাংলাদেশ দলে একজন হেড কোচ আছেন, তাই আমরা তো কোনো হেড কোচ নিয়োগ দিচ্ছি না।'
'আমরা শ্রীরামকে টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসেবে আনছি। বিসিবি কাকে কোন জায়গায় রাখবে, সেটা বিসিবির সিদ্ধান্তের ব্যাপার। তবে রাসেল এ বিষয়ে কোনো কিছুই বলেনি। আমি তার সঙ্গে যতোদিন কাজ করেছি বা যতটুকু জানি, সে যথেষ্ট ইতিবাচক। আশা করছি বোর্ড তার সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলবে। আজ তার সঙ্গে কথা বলার একটা সুযোগ আছে। তাই আমার মনে হয় না এটা কোন বড় বিষয়।' যোগ করেন সুজন।
পারফরম্যান্স নেই বলেই টি-টোয়েন্টিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পক্ষে সুজন। তার ভাষায়, 'আমার কাছে মনে হয় এই ফরম্যাটে আমরা অনেক কিছুই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারি। যেটা আমরা ওয়ানডেতে করতে পারি না। তবে হয়তো টেস্ট ম্যাচেও আমরা এ রকম কিছু করতে পারি। দেখুন এতো বছর টেস্ট খেলার পরও কিন্তু আমরা টেস্ট ক্রিকেটে ভারসাম্যপূর্ণ দল হতে পারছি না।'