টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে সাকিবের লম্বা লাফ
এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট হাতে তেমন কিছু করা হয়নি সাকিব আল হাসানের। তবে বোলিং করেছেন ঠিকঠাক। তার বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয় আফগান ব্যাটসম্যানদের। এই বোলিংয়ের প্রভাব পড়েছে টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে। বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে বাঁহাতি এই স্পিনারের।
গত সপ্তাহের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে র্যাঙ্কিং হালনাগাদ করেছে আইসিসি। যা বুধবার প্রকাশ করা হয়েছে। বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে ৮ ধাপ উন্নতি হয়েছে সাকিবের। লম্বা লাফে ১৯ তম স্থানে উঠে এসেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হেরে যাওয়ার ম্যাচে অবিশ্বাস্য বোলিং করেন সাকিব। ৪ ওভার বোলিং করা সাকিব নেন একটি উইকেট, রান খরচা করেন মাত্র ১৩। এর মধ্যে নেই কোনো বাউন্ডারি। তার করা ২৪ বলের মধ্যে ১২ বল থেকে কোনো রান নিতে পারেনি আফগানিস্তান।
অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে আগের অবস্থানেই আছেন সাকিব। ২৪৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানেই আছেন তিনি। ২৫৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী।
টি-টোয়েন্টি বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ অবনতি হয়েছে শেখ মেহেদি হাসানের। এক ধাপ পিছিয়ে ১৬ নম্বরে আছেন ডানহাতি এই অফ স্পিনার। বাংলাদেশের মধ্যে সেরা অবস্থান তারই।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুযোগ না পাওয়া বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ দুই ধাপ পিছিয়ে ২২ নম্বরে আছেন। আফগানদের বিপক্ষে বাজে বোলিং করলেও র্যাঙ্কিংয়ে কোনো অবনতি হয়নি মুস্তাফিজর রহমানের। আগের মতোই ৩১ নম্বরে আছে বাঁহাতি এই পেসার।
ব্যাসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। দুই ধাপ এগিয়ে ৩৮ নম্বরে আছে আছেন তিনি। অবনতি হয়েছে ওপেনার নাঈম শেখের। চার ধাপ পিছিয়ে ৮০ নম্বরে আছেন তিনি।
ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে অবনতি হয়েছে সাকিব ও আফিফ হোসেন ধ্রুবরও। এক ধাপ পিছিয়ে ৬৮ নম্বরে আছেন সাকিব। আফিফের অবনতি হয়েছে তিন ধাপ, এখন তিনি ৫৭ তম স্থানে।