পাকিস্তান বাধায় থেমে গেল নিগারদের জয়রথ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব থেকে দাপটের শুরু। এরপর কেবল জয়ের হাসিই হাসছিল বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দল। বাছাই পর্বে টানা তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফেরা দলটি ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপেও দাপুটে শুরু করে। কিন্তু তাদের জয়রথ থেমে গেল পাকিস্তান বাধায়। টানা ছয় ম্যাচ জেতার পর হারের স্বাদ নিতে হলো নিগার সুলতানা জ্যোতির দলকে।
সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। সংক্ষিপ্ততম এই ফরম্যাটে সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে হেরেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। টি-টোয়েন্টিতে শেষ ১১ ম্যাচের মধ্যে এটা বাংলাদেশের দ্বিতীয় হার।
দারুণ ছন্দে থাকা বাংলাদেশকে এদিন গুঁড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। দলটির দারুণ বোলিংয়ের বিপক্ষে সামান্যতম লড়াইও করতে পারেনি স্বাগতিকরা। টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ৭০ রান তোলে। মাত্র তিনজন ব্যাটার দুই অঙ্কের রান করেন। জবাবে ম্যাচসেরা সিদরা আমিনের ব্যাটে ১২.২ ওভারেই এক উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।
ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং; কোনো বিভাগেই ছন্দময় বাংলাদেশের দেখা মেলেনি। হতাশার ব্যাটিংয়ে ব্যাটাররা আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন। ছোট সংগ্রহ নিয়ে বোলিংয়ে যতোটা লড়াকু থাকার দরকার ছিল, সেটাও করে দেখা পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। নখদন্তহীন বোলিংয়ের পাশাপাশি দৃষ্টিকটু ফিল্ডিংও ছিল চরম হতাশার কারণ।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দাপুটে শুরু করে পাকিস্তান। উদ্বোধনী জুটিতে ৭.৩ ওভারে ৪৯ রান যোগ করেন মুনিবা আলী ও সিদরা আমিন। ১৪ রান করা মুনিবার বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। এরপর আর বিপদে পড়তে হয়নি পাকিস্তানকে। ম্যাচসেরা সিদরা ৩৫ বলে ৪টি চারে ৩৫ এবং অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ ১২ রানে অপরাজিত থাকেন। পাকিস্তানের যাওয়া একমাত্র উইকেটটি নেন সালমা।
এর আগে ব্যাটিং করা বাংলাদেশ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধুঁকেছে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৪ রানের ইনিংস খেলেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সালমা। এ ছাড়া অধিনায়ক নিগার ১৭ ও লতা মন্ডল ১২ রান করেন। বাকিদের কেউই ৪ রানের বেশি করতে পারেননি। তিনজন ব্যাটার করেন ১ রান করে। দুজন ৪ রান, একজন ৩ রান ও বাকি ব্যাটার করেন ২ রান। পাকিস্তানের কোনো বোলারই ওভার প্রতি ৪ রানের বেশি খরচা করেননি। ডায়ানা বেগ ও নিদা দার ২টি করে উইকেট নেন। সাদিয়া ইকবাল ও ওমাইমা সোহেল পান একটি করে উইকেট।