এক উইকেট পেতে ১২ বছরের অপেক্ষা!
অভিষেক সেই ২০১০ সালে। সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই টেস্ট খেলার পর কেটে গেছে ১২ পর, উইকেটের স্বাদ নেওয়া হয়নি জয়দেব উনাদকাতের। বাংলাদেশের বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট খেলতে নেমে অবশেষে টেস্ট উইকেটের স্বাদ বুঝলেন ভারতীয় এই পেসার। অবিশ্বাস্য মনে হবে, এও সম্ভব নাকি! আদতে এই ১২ বছরে কোনো টেস্টই খেলেননি বাঁহাতি এই পেসার।
২০১০ সালে ভারত দলে যখন উনাদকাতের অভিষেক হয়, তখন দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। সাবেক এই ব্যাটসম্যান এখন ভারতের প্রধান কোচ। দীর্ঘ এই সময়ে ভারত টেস্ট খেলেছে ১১৮টি। ১১৯তম টেস্টে এক সময়ের সতীর্থের তত্ত্বাবধানে অবশেষে অপেক্ষা ফুরালো উনাদকাতের। বাংলাদেশ ওপেনার জাকির হাসানকে ফিরিয়ে প্রথমবারের মতো টেস্ট উইকেট পাওয়ার উদযাপন করেন তিনি।
এক টেস্ট থেকে আরেক টেস্ট খেলার মাঝে দীর্ঘ বিরতিতে রেকর্ডে নাম উঠে গেছে উনাদকাতের, ব্যবধান ১২ বছর ২ দিন। অবশ্য ভারত দলে লম্বা বিরতির দিক থেকে উনাদকাত দ্বিতীয়। সর্বোচ্চ বিরতির পর পরের টেস্ট খেলায় সবার ওপরে লালা অমরনাথ। প্রথম দুই টেস্ট খেলার ১২ বছর ১২৯ দিন পরের টেস্ট খেলেন তিনি।
ভারতের ইফতিখার আলী খান পতৌদিও আছেন এই তালিকায়। ১৯৩৪ সালে নটিংহামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের হয়ে ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট খেলেন খেলেন পতৌদি। এরপর দীর্ঘ দিন খেলা হয়নি তার। ১২ বছর ১০ দিন পর ১৯৪৬ সালে আবার টেস্ট খেলতে নামেন পতৌদি। তবে লর্ডসে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে ভারতের হয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই খেলেন তিনি।
ম্যাচের হিসাব করলে উনাদকাতের চেয়ে লম্বা বিরতিতে টেস্ট খেলেনি ভারতের আর কেউ। সব মিলিয়েই তার ওপরে আছেন আর একজন। একবার টেস্ট খেলে বাদ পরার পর দেশ খেলে ফেলে ১৪২টি টেস্ট, এরপর আবার টেস্ট খেলার সুযোগ পান ইংল্যান্ডের গ্যারেথ বেটি। ডানহাতি এই অফ স্পিনার ২০০৫ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ টেস্ট খেলেন। ২০১৬ সালে আবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই ফেরেন তিনি।
২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অভিষেক টেস্ট খেলা উনাদকাত সেই ম্যাচে বল হাতে খারাপ করেননি। ২৬ ওভার বোলিং করে সবচেয়ে কম ইকোনমিতে ১০১ রান খরচা করেন তিনি, কিন্তু পাননি কোনো উইকেট। এরপর থমকে যায় বাঁহাতি এই পেসারের ক্যারিয়ার। ১২ বছর পর ফিরে প্রথম উইকেটের স্বাদ নেওয়া উনাদকাত এবার আরও একটি উইকেট নিয়েছেন। ১৬ ওভারে ৫০ রানে তার শিকার ২ উইকেট।