ভারতকে ছোট লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ
প্রথম ইনিংস থেকে দ্বিতীয় ইনিংস আলাদা করার খুব একটা সুযোগ নেই। আবারও সেই একই গল্প, যার বেশিরভাগ জুড়ে ব্যর্থতা। এর মাঝে কোনো একজনের লড়াই। আগের ইনিংসে ছিলেন মুমিনুল হক, এবার লিটন কুমার দাস। তার নিজেদের ব্যাটে প্রথম ইনিংস ছাড়ানো গেল, তবে ভারতকে বড় লক্ষ্য দিতে পারলো না বাংলাদেশ।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলমান টেস্টে ২৩১ রানে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। এতে ভারতের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ১৪৫ রান। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে করা ২২৭ রানের জবাবে ৩১৪ রান করে ভারত। প্রথম ইনিংসেই ৮৭ রানে এগিয়ে যায় ভারত। ওই এগিয়ে থাকার কারণেই লক্ষ্যটা বড় হয়নি লোকেশ রাহুলের দলের।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং নামা বাংলাদেশ ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৭ রান তুলে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে। নাজমুল হোসেন শান্ত ৫ ও জাকির হাসান ২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। কিন্তু ততৃীয় দিন শুরুটা ভালো করতে পারেনি তারা। দলীয় ১৩ রানেই ফিরে যান শান্ত। বাংলাদেশ ওপেনার ৫ রান করে বিদায় নেন।
আগের ইনিংসের ত্রাতা মুমিনুল হকও কিছুক্ষণ পর বিদায় নেন, তিনিও করেন ৫ রান। দ্রুত দুই উইকেট হারানোর চাপ কাটিয়ে ওঠার আগেই ১৩ রান করে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ফেরেন সাজঘরে। ৫১ রানেই নেই ৩ উইকেট। মুশফিকুর রহিমও এই ভাঙন আটকাতে পারেননি, ৯ রান করে ফিরে যান তিনি।
এর মাঝেই এক পাশ আগলে রাখেন তরুণ ওপেনার জাকির হাসান। মুশফিকের বিদায়ের পর লিটন কুমার দাসের সঙ্গে জুটি বাধেন তিনি। এই জুটি থেকে ৩১ রান পায় বাংলাদেশ। এর মাঝে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন অভিষেকেই সেঞ্চুরি জাকির। ৫১ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি।
মেহেদী হাসান মিরাজ উইকেটে টিকতেই পারেননি, ৫ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হন তিনি। এরপর নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে জুটি গড়েন লিটন, যোগ করেন ৪৬ রান। ওয়ানডে মেজাজে ২৯ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ৩১ রান করে আউট হন সোহান। তার বিদায়ের পর তাসকিন আহমেদকে নিয়ে আরেকটি জুটি গড়েন লিটন।
মূলত লিটনের ইনিংস ও কয়েকজনের সঙ্গে গড়া তার কয়েকটি জুটির কারণে ২৩১ রান পায় বাংলাদেশ। তাসকিনের সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়ে আউট হন লিটন। এর আগে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৯৮ বলে ৭টি চারে ইনিংসসেরা ৭৩ রান করেন। তাসকিন ৪৬ বলে ৪টি চারে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন। ভারতের অক্ষর প্যাটেল ৩টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও মোহাম্মদ সিরাজ। একটি করে উইকেট পান উমেশ যাদব ও জয়দেব উনাদকাত।