যুক্তরাষ্ট্রের কোচ হওয়ার 'লোভনীয়' প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন জিদান
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ফুটবল দলের (পুরুষদের) প্রধান কোচ হওয়ার লোভনীয় প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক ফুটবলার ও সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ কোচ জিনেদিন জিদান, খবর গোল-এর।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম লেকিপের বরাত দিয়ে গোল ডটকম জানিয়েছে, জিদানকে কোচ হওয়ার জন্য যে প্রস্তাব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র তা খেলার দিক থেকে এবং জিদানের ব্যক্তিগত দিক থেকেও বেশ আকর্ষণীয় প্রস্তাবই ছিল। দলের প্রধান কোচ হওয়ার বিনিময়ে জিদানকে মোটা অংকের টাকা বেতন দেওয়ার প্রস্তাব করেছিল ২০২৬ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশটি। কিন্তু জিদান সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং আপাতত তাকে ফ্রান্সের কোচ হওয়ার দিকেই বেশি আগ্রহী দেখা গেছে; যদিও বর্তমান কোচ দিদিয়ের দেশমের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে ফ্রান্সের ফুটবল সংস্থা।
এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র তাদের জাতীয় দলের কোচ গ্রেগ বারহল্টারের অতীতের, ১৯৯১ সালের একটি গৃহ-সহিংসতার ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছে। ২০২২ বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের কোচ হিসেবে ছিলেন বারহল্টার। গত সপ্তাহে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। বারহল্টারের সাথে চুক্তি নবায়নের সম্ভাবনা থাকলেও, তার চেয়ে ভালো বিকল্প খোঁজার চেষ্টাও অব্যহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে আপাতত অ্যান্থনি হাডসনকে নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে তার জাতীয় দলের স্থায়ী কোচ হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
জিদানের মতো কিংবদন্তি ফুটবলারকে কোচ হিসেবে নিয়ে এলে যে যুক্তরাষ্ট্রের বড় রকম ফায়দা হতো তা বলাই বাহুল্য। বিশেষ করে রিয়াল মাদ্রিদকে টানা তিনবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানো কোচ জিদানের দক্ষতার প্রমাণ ইতোমধ্যেই পেয়ে গেছে বিশ্ব। এমনকি ব্রাজিলের কোচ তিতের পদত্যাগের পর সেলেসাওদের সম্ভাব্য কোচ হিসেবেও জিদানের নাম উঠে এসেছিল।
এছাড়াও, মরিসিও পচেত্তিনো ও মাউরো বিয়েলসার মতো বড় বড় কোচদের নামও উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য কোচ হিসেবে। এরা দুজনেই বর্তমানে বেকার আছেন। আবার ব্রাজিলের সাবেক কোচ তিতে, স্পেনের সাবেক কোচ লুইস এনরিকের মতো কোচরাও যুক্তরাষ্ট্রের চিন্তাভাবনায় থাকতে পারে। তবে এই মুহূর্তে কোচ হিসেবে যে জিদানের চাহিদা অন্য সবার চেয়ে ওপরে, একথা স্বীকার করতেই হবে।
গ্রেগ বারহল্টারকে নিয়ে তদন্তের ফলাফল প্রকাশিত হলে জাতীয় দলে তার ভবিষ্যত নিয়ে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। আগামীতে কলম্বিয়া ও সার্বিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে।