দারুণ ব্যাটিংয়ের পরও হতাশা, ফুরালো না সাকিবের দীর্ঘ অপেক্ষা
ব্যাটিং না হয় বোলিং; কোনো একটা দিয়ে দলের হয়ে ঠিক অবদান রাখেন সাকিব আল হাসান। লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং-বোলিংয়ে তার খারাপ সময় গেছে, এমনটা তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে হয়নি বললেই চলে। কিন্তু সেই সাকিবেরই দীর্ঘ এক অপেক্ষা ফুরাচ্ছে না। খুব কাছে গিয়েও টেস্টে সেঞ্চুরি না পাওয়ার অপেক্ষা শেষ হলো না বাংলাদেশ অধিনায়কের। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের হাফ সেঞ্চুরি করার পর হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো তাকে।
পারফরম্যান্সে ধারাবাহিক বলে অনেকে হয়তো ভুলেই যেতে পারেন সাকিব সর্বশেষ কবে টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন। এমন প্রশ্ন খোদ সাকিবের জন্যই হয়তো কঠিন হতে পারে। কারণ, দুই-একটা বছর তো নয়; ছয় বছর আগে টেস্টে সেঞ্চুরি করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ২০১৭ সালে কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের শততম টেস্টে ১১৬ রানের ইনিংস খেলার পর আর তিন অঙ্কে যাওয়া হয়নি সাকিবের।
এরপর আস্তে আস্তে সাকিবের টেস্ট খেলার সংখ্যাই কমে এসেছে। এরপরও ৩০টি ইনিংস (আজকের ইনিংসসহ) খেলেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার, কিন্তু একবারও সেঞ্চুরির স্বাদ নেওয়া হয়নি। কলম্বোর ওই ইনিংসের পর সাকিব হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ১০টি, এর মধ্যে আজ খেলা ৮৭ রানের ইনিংসটিই তার সর্বোচ্চ।
গত কিছুদিন ধরে ব্যাট হাতে ছন্দময় সাকিবকে দেখা যাচ্ছে। বিপিএলে প্রায় প্রতি ইনিংসেই ঝড় তোলা ব্যাটিং করা অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একটি হাফ সেঞ্চুরি করেন। কিন্তু কোনোটিই সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারেননি তিনি। টেস্ট অথবা ওয়ানডে, সাকিব আটকে থাকছেন হাফ সেঞ্চুরিতেই।
টেস্ট সেঞ্চুরি না পাওয়ার ছয় বছর, নিশ্চয়ই সাকিবের জন্য অপেক্ষা। অবশ্য টেস্ট সেঞ্চুরি না বলে কেবল সেঞ্চুরির অপেক্ষাই বলা উচিত। যেকোনো ফরম্যাটেই সাকিবের ব্যাট থেকে শেষ সেঞ্চুরি এসেছে চার বছর আগে। ২০১৯ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হার না মানা ১২৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ওটাই তার সেঞ্চুরির শেষ স্মৃতি।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে যেভাবে ব্যাটিং করছিলেন সাকিব, মনে হচ্ছিল সেঞ্চুরি তুলে নেওয়াটা তার জন্য কয়েক মুহূর্তের ব্যাপার মাত্র। উইকেটে গিয়েই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করে বাংলাদেশ অধিনায়ক ৪৫ বলে ৯টি চারে ৫০ পূর্ণ করেন, এটা তার ৩১তম টেস্ট হাফ সেঞ্চুরি। পঞ্চাশ ছুঁতে ৩৬ রানই বাউন্ডারি থেকে তোলেন তিনি। দলকে চাপমুক্ত করে আউট হওয়া সাকিব শেষ পর্যন্ত ৯৪ বলে ১৪টি চারে ৮৭ রান করেন।