আইসিসির মার্চসেরা সাকিব
ঘরের মাঠে পুরো মার্চজুড়ে ব্যাটে-বলে শাসন করেছেন সাকিব আল হাসান। ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আলো ঝলমলে পারফরম্যান্সের কারণে আইসিসির 'প্লেয়ার অব দ্য মান্থ'- এর সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিল বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের নাম। পুরস্কারটাও উঠলো সাকিবের হাতেই, আইসিসির মার্চ মাসের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন তিনি।
মাসসেরার পুরস্কার জেতার দৌড়ে সাকিব পেছনে ফেলেছেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আসিফ খানকে। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আইসিসির মাসসেরার পুরস্কার জিতলেন সাকিব। গত বছরের জুলাইয়ে প্রথমবারের মতো এই পুরস্কার জেতেন তিনি। সাকিবের সঙ্গে মেয়েদের বিভাগে এই পুরস্কার জিতেছেন রুয়ান্ডার অলরাউন্ডার হেনরিয়েট ইশিমউই।
পুরস্কার জিতে উচ্ছ্বসিত সাকিব বলেছেন, 'আমি পুরষ্কারটি জিততে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। বিশেষজ্ঞ প্যানেলের যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন, তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই স্বীকৃতি আমার কাছে খুবই মূল্যবান, কারণ অনেক চমৎকার সব ক্রিকেটার গত এক মাসে অনেকগুলো বিশেষ পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন।'
'গত মাসের থেকে যদি সেরা মুহূর্ত বাছাই করতে হয়, তাহলে সেটা হবে দল হিসেবে সব বিভাগে চমৎকার পারফরম্যান্স ধরে রেখে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করা। নিজের ভূমিকায় মনোনিবেশ করা এখন আমার জন্য খুব সহজ।' যোগ করেন সাকিব
মার্চ মাসজুড়ে ১২ ম্যাচে দারুণ কিছু পারফরম্যান্স করেছেন সাকিব। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন সাকিব। ৭১ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলার পর বল হাতে ৩৫ রান খরচায় নেন ৪ উইকেট নেয়া বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরান্ডার জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
২-১ ব্যবধানে হেরে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজে দুই হাফ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৪১ রান করেন সাকিব। বল হাতে নেন ৬ উইকেট, যা দেশের হয়ে তাইজুল ইসলামের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের টি-টোয়েন্টি হোয়াইটওয়াশ করার মিশনেও অবদান রাখেন সাকিব। তিন ম্যাচের প্রতিটিতেই উইকেট নেন তিনি। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২৪ বলে খেলেন ৩৪ রানের অপরাজিত ইনিংস। বাকি দুই ম্যাচে অবশ্য ব্যাটিংয়ে অনুজ্জ্বল ছিলেন তিনি।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ছন্দে ছিলেন সাকিব। প্রথম ওয়ানডেতে খেলেন ৯৩ রানের ইনিংস। টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ২৪ বলে করেন অপরাজিত ৩৮ রান। এই সংস্করণের তিন ম্যাচে ৫টি উইকেট নেন বাঁহাতি এই স্পিনার।