ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশের মেয়েদের বড় হার
আগের ম্যাচে ১৪৫ রান তাড়া জেতা দলটাই পরের ম্যাচে অচেনা হয়ে উঠলো। আগে ব্যাটিং করতে নেমে প্রায় সব ব্যাটসম্যানই যোগ দিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে, কেউ-ই পারলেন না ব্যাট হাতে নেতৃত্ব দিতে। তাতে সংগ্রহটা সামন্যই থেকে যায়, যা পাড়ি দিতে একেবারেই বেগ পেতে হয়নি শীলঙ্কাকে।
বৃস্পতিবার সিংহলী স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের জয়ে সিরিজে ১-১ সমতা এলো। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ১২ মে একই ভেন্যুতে মুখোমুখি হবে দুই দল।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। শুরুটা মন্দ ছিল না বাংলাদেশের, কিন্তু পরে এই ধারায় থাকা হয়নি নিগার সুলতানা জ্যোতির দলের। শ্রীলঙ্কার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে নিয়মিত ধারায় উইকেট হারানো বাংলাদেশ ১৮.৩ ওভারে ১০০ রানে অলআউট হয়ে যায়।
বাংলাদেশের কোনো ব্যাটার ২০ রানের সীমাও পেরোতে পারেননি, ছয়জন ব্যর্থ হয়েছেন দুই অঙ্কের রান করতে। জবাবে অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তুর পর হার্শিতা সামারাবিক্রমা ও কাভিশা দিলহারির ব্যাটে ৯ বল হাতে রেখে বড় জয় তুলে নেয় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে দলকে ভালো শুরুই এনে দেন আতাপাত্তু ও ভিস্মি গুনারত্নে। উদ্বোধনী জুটিতে তারা ৬.২ ওভারে ৪৩ রান যোগ করেন। এই জুটি গড়ার পথে ২৭ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৩ রান করেন আতাপাত্তু। তিন ওভার পর বিদায় নেন ১৭ বলে ১২ রান করা ভিস্মি।
কিছুক্ষণ পর নিলাক্ষী ডি সিলভাও আউট হলে চাপ বাড়ে লঙ্কানদের। যদিও দলকে তা বুঝতে দেননি হার্শিতা ও কাভিশা। এ দুজন দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। হার্শিতা ৪২ বলে একটি চারে ২৯ ও কাভিশা ১৮ বলে ২টি চারে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের ফাহিমা খাতুন ২টি ও রাবেয়া খান একটি উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিং করা বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৮ রান করে করেন শামীমা সুলতানা ও সোবানা মোস্তারী। ১৬ রান করেন রুবাইয়া হায়দার, টি-টোয়েন্টি মেজাজে ১০ বলে একটি ছক্কায় (১৪০ স্ট্রাইক রেটে) ১৪ রান করেন মুর্শিদা খাতুন। দুই অঙ্কের রান করা বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটার ১০০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করতে পারেনি।
আগের ম্যাচে দুর্বার ব্যাটিং করা অধিনায়ক নিগার আজ ৭ রান করেই বিদায় নেন। রিতু মনি ৫, সুলতানা খাতুন ৪ ও ফাহিমা খাতুন ৬ রান করেন। শ্রীলঙ্কার উদেশিকা প্রাবোধানি, সুগন্দিকা কুমারী, ইনোকা রানাবিরা ও কাভিশা ২টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান ওসাদি রানাসিংহে ও কাউইয়া কাভিন্দি।