হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে বাদ হাসান ও মুস্তাফিজ
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের আশায় শুরু হয় মিশন। কিন্তু ঘরের মাঠে প্রিয় ফরম্যাটেই বাংলাদেশের হতশ্রী অবস্থা। প্রথম দুই ওয়ানডে দিয়ে সিরিজ হেরে বসে আছে বাংলাদেশ। উল্টো হোয়াইওটয়াশ এড়ানোর চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ। এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে আফগানদের বিপক্ষে মাঠে নামছে লিটন কুমার দাসের নেতৃত্বাধীন দলটি।
তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আজ আফগানিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে কোণঠাসা অবস্থায় থাকা বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে অস্বস্তি এড়ানোর ম্যাচে টস ভাগ্য বিপক্ষে গেছে বাংলাদেশের। টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামছে বাংলাদেশ। ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে।
এই ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশে তিনটি পরিবর্তন এসেছে। চোটের কারেণ এই ম্যাচসহ পুরো টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকেই ছিটকে গেছেন এবাদত হোসেন। তার জায়গায় একাদশে ফিরেছেন তাসকিন আহমেদ। বাদ পড়েছেন দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। তাদের জায়গায় খেলবেন পেসার শরিফুল ইসলাম ও স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
আফগানিস্তানের একাদশে দুটি পরিবর্তন এসেছে। তারকা লেগ স্পিনার রশিদ খানকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। একাদশে জায়গা হয়নি আগের ম্যাচে অভিষেক হওয়া মোহাম্মদ সেলিম শফির। এ দুজনের জায়গায় একাদশে সুযোগ পেয়েছেন আব্দুল রহমান ও জিয়া-উর-রহমান।
ঘরের মাঠে যেকোনো ফরম্যাটেই বাংলাদেশ শক্তিশালী প্রতিপক্ষ, বিশেষ করে ওয়ানডেতে অপ্রতিরোধ্য। রেকর্ডে চোখ রাখলেই সেটা পরিষ্কার হবে। ২০১১ সালের পর ঘরের মাঠে একবার হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হারে তারা।
ঘরের মাঠে ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হারার পর টানা সাতটি সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। চলতি বছর সেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হেরেই অপ্রতিরোধ্য পথচলা থামে তাদের। এবার আফগানদের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার শঙ্কায় স্বাগতিকরা। এই সিরিজের আগে ঘরের মাটিতে ৪৫টি ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ জিতেছে ২৫টিতেই। এর মধ্যে ১৪টি জয় সর্বশেষ ১৬ সিরিজে।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন কুমার দাস (অধিনায়ক), নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তৌহিদ হৃদয়, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।
আফগানিস্তান একাদশ: রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহিদি (অধিনায়ক), নাজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবী, আব্দুল রহমান, মুজিব-উর-রহমান, ফজলহক ফারুকী, আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও জিয়া-উর-রহমান।