দর্শকদের কাছে নারী দলের অধিনায়কের আবেদন
ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দল। শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলেও শেষ ম্যাচে আনন্দে ভেসেছেন জ্যোতি-শামীমারা। শেষ ম্যাচ জিতে ব্যবধান ২-১ করেছেন তারা। ভারতের বিপক্ষে জয় সব সময়ই বাংলাদেশের জন্য বিশেষ কিছু, আর সেটা যদি হয় পাঁচ বছর পর; আনন্দের মাত্রা বেড়ে যায় বহুগুণে। কিন্তু এই আনন্দের মাঝেই আক্ষেপ করতে দেখা গেলে নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির। মাঠে এসে খেলা দেখতে দর্শকদের কাছে আবেদন জানালেন তিনি।
বাংলাদেশ-ভারতের সিরিজে নেই কোনো স্পন্সর, দর্শকও নেই বললেই চলে। গ্যালারিতে দর্শক টানতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেরও (বিসিবি) তেমন আগ্রহ বা চেষ্টা নেই। প্রথম টি-টোয়েন্টির আগের রাতে ১১টার দিকে গ্যালারি উন্মুক্ত রাখার ঘোষণা দেয় বিসিবি, সেটাও কেবল মিডিয়া গ্রুপে। ১৪ মিলিয়ন ফলোয়ারের ফেসবুক পেজে এ নিয়ে কোনো ঘোষণা দেয়নি বিসিবি। উল্টো প্রথম ম্যাচের পর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান জানিয়ে দেন, দর্শক টানার মতো পরিস্থিতি নেই।
বাংলাদেশ পুরুষ দলের ম্যাচে গ্যালারি রঙিন হয়ে ওঠে, চারপাশ থেকে ভেসে আসে 'বাংলাদেশ, বাংলাদেশ' গর্জন। এমন আওয়াজ নিজেদের জন্যও শুনতে চান নারী দলের অধিনায়ক। তাই দর্শকদের কাছে আর্জি জানিয়ে রাখলেন তিনি। এখানে সংবাদমাধ্যমেরও ভূমিকা দেখছেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ভারতকে ৪ উইকেটে হারানোর আনন্দের মাঝেই আক্ষেপের সুরে জ্যোতি বলেন, 'আমি বলবে যে এখন এটা পুরোপুরি মিডিয়ার ওপর নির্ভর করছে। যতো বেশি আমাদের নিউজটা ছড়াবে, মানুষ জানতে পারবে। আমার মনে হয় নারী দলকে অনেকেই ফলো করে। বাংলাদেশের মাঠে আমরা খেলছি, আমি দর্শকদের আবেদন জানাব, তারা যেন আরও আসে। কারণ দর্শক এলে ইতিবাচক সমর্থন পাওয়া যায়।'
'আমার কাছে মনে হয়, আমি যখন ব্যাটিং করছিলাম, সবার এটা বিশ্বাস ছিল, মাঠ থেকে যখন আমি বাংলাদেশ বাংলাদেশ শব্দ শুনতে পাই, তখন আসলে ভিতর থেকে ইতিবাচক একটা ব্যাপার কাজ করে। মনে হয় দেশের জন্য খেলছি, দেশের জন্য আরেকটু লড়াই করি, শক্তিটা অন্যরকম থাকে। দর্শক আরও এলে আরও ভালো লাগবে, যারা এসেছেন তাদের ধন্যবাদ। ওনাদের সমর্থনেই আমরা এতোদূর।' যোগ করেন জ্যোতি।
স্পন্সর পাওয়ার ক্ষেত্রেও সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা আছে বলে মনে করেন জ্যোতি, 'আমরা চাই ভালো ক্রিকেট খেলে আমাদের মেলে ধরতে। স্পন্সর আসছে না, এটা আপনাদেরও দায়িত্ব। স্পন্সর কেন আসবে বলেন, যখন খেলাগুলো টেলিকাস্ট হবে তখন স্পন্সররা আসবে অবশ্যই। খেলা দেখায় না, নিউজগুলো ছড়ায় না; যদি আপনারা সাহায্য করেন, আমাদের যদি আপনারা বাংলাদেশের কাছে মেলে ধরেন…। যখন মানুষ আগ্রহী হবে, তখন বাণিজ্যিকভাবে আমাদের ক্রিকেট বিক্রি হবে।'