পাকিস্তানের হৃদয় ভেঙে দক্ষিণ আফ্রিকার নাটকীয় জয়
এবারের বিশ্বকাপের সেরা ম্যাচ উপহার দিলো দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পাকিস্তান। টানটান উত্তেজনাকর এই ম্যাচে পাকিস্তানকে এক উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে প্রোটিয়ারা, অপরদিকে সেমিফাইনালে খেলার আশা কঠিনতর হয়ে গেল পাকিস্তানের জন্য।
এ পর্যন্ত বিশ্বকাপের প্রায় সবগুলো ম্যাচই হয়েছে একপেশে। অবশেষে দর্শকদের পয়সা উসুল করা ম্যাচ উপহার দিলো দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তান। এবারের বিশ্বকাপের সেরা ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
পাকিস্তানের দেওয়া ২৭১ রানের লক্ষ্য দক্ষিণ আফ্রিকা টপকে গেছে মাত্র এক উইকেট হাতে রেখে। যদিও একটা সময় মনে হচ্ছিল, সহজেই জিতবে প্রোটিয়ারা। কিন্তু দ্রুত তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলে পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত কেশব মহারাজের দৃঢ়তায় জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
২৭১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এক পর্যায়ে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ছিলো পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান। সেখান থেকে পরপর মার্কো ইয়ানসেন, এইডেন মার্করাম ও জেরার্ল্ড কোয়েটজকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলে পাকিস্তান। ২৬০ রানে নবম উইকেট হারানোর সময় প্রোটিয়াদের দরকার ছিলো আরো ১১ রান।
কেশব মহারাজ ও তাবরাইজ শামসি মিলে তুলে ফেলেন সেই রান। মোহাম্মদ নাওয়াজের বলে চার মেরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয় এনে দেন মহারাজ। প্রোটিয়াদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯১ রান করেন মার্করাম। তার ৯৩ বলের ইনিংসে ছিলো সাতটি চার ও তিনটি ছয়। পাকিস্তানের হয়ে তিনটি উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি, দুটি করে উইকেট নিয়েছেন হারিস রউফ, মোহাম্মদ ওয়াসিম ও ওসামা মির।
আগে ব্যাটিং করলে দক্ষিণ আফ্রিকার ভয়ঙ্কর রূপের কথা জানেন বলেই কিনা টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার ভুলটা করেননি বাবর আজম। নয়তো পাকিস্তানের শক্তিও যেখানে তাড়া করা, সেখানে অন্য দল হলে হয়তো ফিল্ডিংটাই বেছে নিতেন তিনি।
নিজেদের টিকিয়ে রাখার ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ২৭০ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। তবে পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারেনি তারা। ৪৬.৪ ওভার খেলেই সবগুলো উইকেট হারিয়েছে বাবর আজমের দল।
পাকিস্তান দলের তিনজন ব্যাটসম্যান ভালো শুরু করেও বড় ইনিংস গড়তে পারেননি। অধিনায়ক বাবর আজম ৬৫ বলে চারটি চার ও একটি ছয়ে করেছেন ৫০ রান। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫২ বলে ৫২ রান করেছেন সউদ শাকিল, সাতটি চার মেরেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এছাড়া শাদাব খান করেছেন ৩৬ বলে ৪৩ রান, তিনটি চার ও দুটি ছয় ছিলো তার ইনিংসের। নাওয়াজের ব্যাট থেকে এসেছে ২৪ বলে ২৪ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বাঁহাতি স্পিনার তাবরাইজ শামসি ৬০ রান খরচায় নিয়েছেন চার উইকেট। ৪৩ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন মার্কো ইয়ানসেন। দুটি উইকেট শিকার করেছেন জেরার্ল্ড কোয়েটজে।