আবারও ব্যাটিং ব্যর্থতা, নিউজিল্যান্ডকে ছোট লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের যে ধরন, এখানে ব্যাটসম্যানদের সংগ্রাম করাটা স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের যেভাবে সংগ্রাম করতে হলো, সেটা রীতিমতো ব্যাটিং ব্যর্থতা। প্রথম ইনিংস হতাশায় শেষ হয় স্বাগতিকদের, দ্বিতীয় ইনিংসেও বদলালো না তাদের ভাগ্য। এজাজ প্যাটেল ও মিচেল স্যান্টনারের স্পিন তোপে দিক হারানো বাংলাদেশ তাই নিউজিল্যান্ডকে বড় লক্ষ্য দিতে পারল না।
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৪ রানে অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ, ব্যাটিং করেছে ৩৫ ওভার। নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ১৩৭ রান। বাংলাদেশের ইনিংসে কেবল জাকির হাসান লড়তে পেরেছেন, আসা-যাওয়ার মিছিলের মাঝেই হাফ সেঞ্চুরি করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউই ১৪৫ রানের বেশি করতে পারেননি। কেবল চারজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করেন।
ছোট লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে সাবধানী শুরু করেছে নিউজিল্যান্ড। ৩ ওভারে বিনা উইকেটে ৪ রান তুলে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। টম ল্যাথ্যাম ২ ও ডেভন কনওয়ে ১ রানে অপরাজিত আছেন। জয়ের জন্য তাদের দরকার ১৩৩ রান, হাতে ১০ উইকেট। এর আগে বাংলাদেশের করা ১৭২ রানের জবাবে ১৮০ রান তুলে ৮ রানের লিড নেয় কিউইরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ৩৮ রান নিয়ে চতুর্থ দিন ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান জাকির ও মুমিনুল হক এদিন ৩৩ রানের জুটি গড়েন, যা বাংলাদেশের ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। তৃতীয় দিন ৩৫ রানের সর্বোচ্চ জুটি গড়েন জাকির ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আগের দিন শূন্য রানে অপরাজিত থাকা মুমিনুল ১০ রান করে আউট হন।
সাবেক টেস্ট অধিনায়কের বিদায়ের পর এলোমেলো হয়ে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। কিছুক্ষণ পরই বিদায় নেন আগের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান করা মুশফিকুর রহিম, ১২ বলে ৯ রান করেন তিনি। টিকতে পারেননি তরুণ শাহাদাত হোসেন দিপুও। মুশফিক বিদায় নেওয়ার ৬ রান পরই ফিরে যান তিনি। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজও ফিরে গেলে দিশাহারা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
জাকিরের সঙ্গে যোগ দিয়ে এই অবস্থা কাটিয়ে তুলতে পারেননি নিজের ছায়া হয়ে থাকা নুরুল হাসান সোহান। রানের খাতাই খুলতে পারেননি ডানহাতি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। প্রথম ইনিংসে ৭ রান করা সোহান সিলেট টেস্টের দুই ইনিংসে যথাক্রমে করেন ২৯ ও ১০ রান। উইকেট বৃষ্টির মাঝেও একপাশ আগলে খেলে যেতে থাকেন জাকির।
নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৮৬ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় ৫৯ রান করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। শেষ দিকে স্পিনার তাইজুল ইসলামের ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান। নাঈম হাসান ৯ ও শরিফুল ইসলাম ৮ রান করেন। বাংলাদেশকে ভোগানো নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি স্পিনার এজাজ ৫৭ রানে ৬টি উইকেট নেন, টেস্টে এটা তার দ্বিতীয় সেরা বোলিং। স্যান্টনার নেন ৩টি উইকেট, টিম সাউদির শিকার এক উইকেট।