সিলেটকে টিকিয়ে রাখলেন টেক্টর-বার্ল
খাদের কিনারে পা, নড়চড় হলেই বাড়তে পারে বিপদ। আরেকটি হারে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে সিলেট স্ট্রাইকার্সের। টানা পাঁচ হারের পর প্রথম জয়ের স্বাদ পাওয়া দলটিকে এ যাত্রায় উদ্ধার করলেন দারুণ ব্যাটিং করা হ্যারি টেক্টর ও রায়ান বার্ল। এই দুই বিদেশির ব্যাটে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে সহজেই জিতলো সিলেট।
শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনাকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট। এবারের বিপিএলে এটা তাদের তৃতীয় জয়। নয় ম্যাচ খেলা বর্তমান রানার্সআপরা ছয় পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ছয় নম্বর দল। বাকি তিন ম্যাচে জিতলে প্লে-অফে খেলার সম্ভাবনা বেঁচে থাকবে তাদের। দারুণ শুরু করা খুলনা তাদের প্রথম চার ম্যাচই জেতে। সেই দলটিই হারলো টানা তিন ম্যাচ। সাত ম্যাচে চার জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে এনামুল হক বিজয়ের দল।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা খুলনা। শুরু থেকে টি-টোয়েন্টিসুলভ ব্যাটিং করতে পারেনি তারা। শেষ তিন ওভারে ৫১ রান তোলার পরও ৩ উইকেটে খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫৩ রান। হাফ সেঞ্চুরি করেন অধিনায়ক বিজয়, উইকেটে মানিয়ে নিতে সময় নিলেও শেষে ঝড়ো ব্যাটিং করেন চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংস খেলা হাবিবুর রহমান সোহান।
জবাবে ম্যাচসেরা টেক্টরের হাফ সেঞ্চুরি ও বার্লের তাণ্ডবে ৬ বল হাতে রেখেই জেতে সিলেট স্ট্রাইকার্স। শেষ দুই ওভারে ১৯ রান দরকার থাকলেও খুলনার পেসার রুবেল হোসেনের করা ১৯তম ওভার থেকেই ২৪ রান তোলে তারা। ৩টি ছক্কা ও একটি চারসহ বার্লই করেন ২৩ রান।
লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ১৩ রানেই ওপেনার সামিত প্যাটেলকে হারায় সিলেট। দ্বিতীয় উইকেটে ৫২ রানের জুটি গড়ে শুরু চাপ সামাল দেন টেক্টর ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৬ বলে ৩টি চারে ১৮ রান করে শান্ত বিদায় নেন। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে ফেরানো খুলনার ক্যারিবীয় স্পিনার মার্ক দেয়াল এই ওভারে জাকির হাসানকেও সাজঘর দেখিয়ে দেন। চাপ বাড়লেও অধিনায়ক মোহম্মদ মিথুনের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথেই রাখেন টেক্টর।
দলীয় সংগ্রহ ১০০ পেরোনোর পর বিদায় নেন মিথুন, ১৯ বলে ৩টি চারে ২৪ রান করেন তিনি। দলীয় ১৩৫ রানে টেক্টরকে থামান সুমন খান। এর আগেই অবশ্য জয়ের পথটা সহজ করে ফেলেন তিনি। আয়ারল্যান্ডের এই ব্যাটসম্যান ৫২ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬১ রান করেন। শেষ দিকে ঝড় তোলা বার্ল ১৬ বলে একটি চার ও ৩টি ছক্কায় অপরাজিত ৩২ রান করেন। খুলনার মার্ক দেয়াল ৩টি এবং নাহিদুল ও সুমন একটি করে উইকেট পান।
এর আগে ব্যাটিং করা খুলনার পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন বিজয়। ৫৮ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় অপরাজিত ৬৭ রান করেন খুলনা অধিনায়ক। ৩০ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন হাবিবুর। এ ছাড়া এভিন লুইস ১২ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব ২৪ রান করেন। সিলেটের সানজামুল ইসলাম, সামিত প্যাটেল ও বেনি হাওয়েল একটি করে উইকেট নেন।