ভারতকে উড়িয়ে যুব বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া
দুই দলই ছিল দুর্বার, পুরো আসরে কোনো প্রতিপক্ষ তাদের হারের স্বাদ দিতে পারেনি। শিরোপার লড়াইয়ে ভারত-অস্ট্রেলিয়া যুবাদের ম্যাচটা জমজমাট হবে, এমনই ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফাইনালে অজিদের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারলো না যুব বিশ্বকাপে রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। দাপুটে জয়ে শিরোপা জিতে নিলো অস্ট্রেলিয়া।
রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার বেনোনিতে যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে ৭৯ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো যুব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতলো তারা। ১৪ বছরের অপেক্ষা ফুরালো দেশটির। সর্বশেষ ২০১০ সালে যুব বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। এর আগে ১৯৮৮ ও ২০০২ সালে চ্যাম্পিয়ন হয় অজিরা।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। হ্যারি ডিক্সন, অধিনায়ক হিউ ওয়েবজেন, হারজাস সিং ও অলিভার পিকের চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংসে ৭ উইকেটে ২৫৩ রান তোলে তারা। জবাবে অস্ট্রেলিয়ার মাহলি বিয়ার্ডম্যান, রাফ ম্যাকমিলান, ক্যালাম ভিডলারদের দারুণ বোলিংয়ের সামনে ভারতের আদর্শ সিং ও মুরুগান অভিষেক ছাড়া কেউ-ই লড়তে পারেননি। ৪৩.৫ ওভারে ১৭৪ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত।
লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ৩ রানেই উইকেট হারায় ভারত। দ্বিতীয় উইকেটে ৩৭ রানের জুটি গড়ে চাপ সামলান আদর্শ ও মুশির খান। ২২ রান করা মুশির আউট হলে দিক হারায় ভারত। ১০০ রানের আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। এক পাশ আগলে খেলে যাওয়া আদর্শ দলীয় ১১৫ রানে থামেন। এর আগে ৭৭ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৭ রান করেন তিনি।
কিছুক্ষণ পর আরেকটি উইকেট হারায় ভারত। তবু ভারতের আশা বেঁচে থাকে অভিষেক ও নামান তিওয়ারির ব্যাটে। নবম উইকেটে এ দুজন ইনিংস সেরা ৪৬ রান যোগ করেন। দলীয় ১৬৮ রানে অভিষেখ আউট হওয়ায় কিছুক্ষণ পরই গুটিয়ে যায় ভারতের ইনিংস। ৪৬ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৪২ রান করেন অভিষেক। নামান করেন ১৪ রান। অস্ট্রেলিয়ার বিয়ার্ডম্যান ও ম্যাকমিলান ৩টি করে উইকেট নেন। ভিডলার ২টি এবং চার্লি অ্যান্ডারসন ও টম স্ট্রাকার একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিং করা অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন ব্যাটসম্যান রানের দেখা পেলেও হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন কেবল হারজাস। ৬৪ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৫৫ রান করেন তিনি। এ ছাড়া ডিক্সন ৪২, ওয়েবজেন ৪৮, অলিভার অপরাজিত ৪৬, রায়ান হিকস ২০ ও অ্যান্ডারসন ১৩ রান করেন। ভারতের রাজ লিমবানি ৩টি এবং নামান তিওয়ারি ২টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান সাউমাই পাণ্ডে ও মুশির খান।