বাংলাদেশের হতশ্রী ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসেই বড় ব্যবধান
সিলেট টেস্টে প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা যে সংগ্রহ গড়ে, তাতে অস্বস্তি ছিল না বাংলাদেশের। দুই পেসার খালেদ আহমেদ ও অভিষিক্ত নাহিদ রানার দারুণ বোলিংয়ে লঙ্কানদের প্রথম ইনিংস ২৮০ রানে বাধে ঘরের মাঠের দলটি। কিন্তু এরপর ব্যাট হাতে যেমন সময় কাটলো, সেটা বাংলাদেশের জন্য অস্বস্তির। চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথম ইনিংসেই বড় ব্যবধানে পিছিয়ে পড়তে হলো তাদের। তাই দ্বিতীয় দিনেই বিপাকে পড়ে গেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলমান সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৮৮ রানেই অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসেই ৯২ রানে পিছিয়ে পড়েছে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেছে শ্রীলঙ্কা, এক উইকেটে তাদের সংগ্রহ ১৯ রান। ১১১ রানে এগিয়ে আছে লঙ্কানরা। অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিসের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ২৮০ করে লঙ্কানরা।
বাংলাদেশের ইনিংসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান ৪৭, সেটাও এসেছে স্পিনার তাইজুল ইসলামের ব্যাট থেকে। স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন লিটন কুমার দাস। বাংলাদেশ যেমন ব্যাটিং করেছে, ১৮৮ রানই বেশি মনে হতে পারে। রান তোলার দায়িত্ব যাদের কাঁধে, সেই ব্যাটসম্যানরা যোগ দিয়েছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে।
দুইশ ছুঁইছুঁই সংগ্রহ এসেছে মূলত বোলারদের কল্যাণে। তাইজুলের পর ব্যাট হাতে অবদান রাখেন দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ। নবম উইকেটে ৪০ রান যোগ করেন এ দুজন, যা বাংলাদেশের ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি।
৩ উইকেটে ৩২ রান তুলে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন নাইট ওয়াচম্যান তাইজুল। প্রথম দিনের শেষ বিকালের মতো আজ সকালেও ভালো শুরু করতে পারেনি বাংলাদেশ। পাঁচ ওভার ব্যাটিং করার পর ভাঙে এই জুটি, ফিরে যান জয়। এদিন তিনি ৩ রান করেছেন। ১২ রান করে লাহিরু কুমারার শিকারে পরিণত হন জয়।
এরপর তাইজুলের সঙ্গে ৩০ রানের জুটি গড়েন শাহাদাত হোসেন দিপু। শাহাদাত ১৮ রান করে ফেরার পর লিটনের জুটি গড়েন তাইজুল। এই জুটি থেকে ৪১ রান পায় বাংলাদেশ, যা তাদের ইনিংসের সর্বোচ্চ। ২৫ রান করা লিটনের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। এর কিছুক্ষণ পর তাইজুলও থামেন। বাঁহাতি এই স্পিনার ৮০ বলে ৬টি চারে ৪৭ রান করেন।
মেহেদী হাসান মিরাজ ১১ রান করে ফেরার পর নবম উইকেটে ৩০ রানের জুটি গড়েন শরিফুল ও খালেদ। শরিফুল ২১ বলে ১৫ ও শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়া খালেদ ২৮ বলে একটি চার ও ২টি ছক্কায় ২২ রান করেন। বাংলাদেশের ইনিংসে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত।
বোলারদের পথ দেখানোর ইনিংসে জাকির হাসান ৯, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৫ ও মুমিনুল হক ৫ রান করেন। বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন লঙ্কান পেসার বিশ্ব ফার্নান্দো। বাঁহাতি এই পেসার ১৫.৩ ওভারে ৪৮ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন। তোপ দাগেন কুশন রাজিথা ও লাহিরু কুমারাও। দুজনই ৩টি করে উইকেট পান।