প্রিমিয়ার লিগের অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন আবাহনী
জয়ে শুরু, জয়ে শেষ। মাঝের সময়টাতেও ছড়ি ঘুরিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। তাদের অপ্রতিরোধ্য পথচলায় লাগাম টানতে পারেনি কোনো প্রতিপক্ষই। একের পর এক জয়ে সাফল্যের মালা বড় করে গেছে আবাহনী, এগিয়ে গেছে শিরোপার পথে। দুর্বার হয়ে ওঠা দলটি অবশেষে পৌঁছে গেল কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে হারিয়ে আরও একবার ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের শিরোপা ঘরে তুললো তারা।
মঙ্গলবার সুপার লিগের ম্যাচে বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে শেখ জামালকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে আবাহনী। এই জয়ে সুপার লিগের কয়েকটি ম্যাচ বাকি থাকতেই চ্যাম্পিয়নের মুকুট জিতলো দলটি। বাকি থাকা ম্যাচগুলোতে হারলেও আবাহনীকে ধরার সম্ভাবনা নেই কোনো দলের। এবারের আসরে কোনো ম্যাচ হারেনি তারা, ১৪ ম্যাচে দলটির পয়েন্ট ২৮। এটা আবাহনীর টানা দ্বিতীয় শিরোপা, প্রিমিয়ার লিগ লিস্ট 'এ' মর্যাদা পাওয়ার পর পঞ্চম শিরোপা ঘরে তুললো আসরটির সফলতম দল। প্রিমিয়ার লিগে এটা আবাহনীর ২২তম শিরোপা।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে শেখ জামাল। সৈকত আলী, অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ও এই ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফেরা সাকিব আল হাসানের চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংসের পর জিয়াউর রহমানের তাণ্ডবে ৯ উইকেটে ২৬৭ রান তোলে দলটি। জবাবে এনামুল হক বিজয়, আফিফ হোসেন ধ্রুব ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের হাফ সেঞ্চুরিতে এক বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় আবাহনী।
আবাহনীর শিরোপা জয়ের দিনে সুপার লিগে জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। সাভারের তিন নম্বর মাঠে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৮ রানে হারায় মিরাজ-মাহমুদউল্লাহদের দল মোহামেডান। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে জেতে তামিম-জাকিরদের প্রাইম ব্যাংক। ১৪ ম্যাচে ১১ জয়ে মোহামেডানের পয়েন্ট ২২, সমান ম্যাচে ১০ জয়ে শাইনপুকুরের পয়েন্ট ২০।
শেখ জামালের দেওয়া মাঝারি লক্ষ্যে শুরুটা ভালো না হলেও দলকে চাপ বুঝতে দেননি বিজয়, আফিফ, মোসাদ্দেকরা। এর মধ্যে আফিফ সবচেয়ে বেশি সময় ব্যাট হাতে দায়িত্ব পালন করেন। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ৮৮ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮৩ রান করেন। বিজয় ৮০ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন। ম্যাচসেরা মোসাদ্দেক ৫৪ বলে ৪টি ছক্কায় ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। এ ছাড়া নাঈম শেখ ২১ ও নাহিদুল ইসলাম ২৪ রান করেন। শেখ জামালের শফিকুল ২টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান সাকিব, সাইফ হাসান, তৈবুর রহমান ও রিপন মন্ডল।
এর আগে ব্যাটিং করা শেখ জামালের হয়ে খুনে ইনিংস খেলেন জিয়াউর। ৯ নম্বরে ব্যাটিং করা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৫৮ বলে ৬টি চার ও ৮টি ছক্কায় ৮৫ রান করেন। এরপরও শেখ জামাল বড় সংগ্রহ পায়নি উপরের ব্যাটসম্যানদের ধীর গতির ব্যাটিংয়ের কারণে। সৈকত ৬৬ বলে ৪১, সাকিব ৫৬ বলে ৪৯ ও সোহান ৬৪ বলে ৪১ রান করেন। আবাহনীর তানজিম হাসান সাকিব ও রাকিবুল হাসান ৩টি করে উইকেট নেন। ২টি উইকেট পান নাহিদুল।