এমন পরিস্থিতি দিয়ে সফর শুরু করতে হবে, ভাবেননি প্রধান নির্বাচক
বিশ্বকাপের আগে আয়োজক দেশে তাদের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে পারলে মন্দ হয় না। কন্ডিশন বোঝার পাশাপাশি প্রস্তুতিটাও সারা যায়। এমন ভাবনা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু প্রস্তুতি সারতে গিয়ে অপ্রস্তুত বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ খুইয়েছে তারা, আজ তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে হারলে হতে হবে হোয়াইটওয়াশ।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজটি বাংলাদেশের বিশ্বকাপ সফরের অংশই। সেই সফরের শুরুটা এভাবে হবে, কেই-বা ভেবেছিলেন! জিম্বাবুয়ে সিরিজে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে শঙ্কা জাগলেও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বাংলাদেশের এমন পরিণতি কেউ আশা করেননি। বাংলাদেশ দল বা বোর্ড সংশ্লিষ্ট কেউ যে এমন পতনের কথা ভাবনাতেও আনেননি, সেটা বোঝা গেল গাজী আশরাফ হোসের লিপুর বক্তব্যে।
বিসিবির প্রধান নির্বাচক জানিয়েছেন, বাংলাদেশ দল এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সফর শুরু করবে, তারা ভাবতে পারেননি। বাস্তবতা মেনে নেওয়া লিপু শনিবার মিরপুর স্টেডিয়ামে বলেন, 'আমরা কেউ আশা করিনি, দলটাকে এমন পরিস্থিতি দিয়ে সফর শুরু করতে হবে। তবে এটাই বাস্তবতা, এই সিরিজ শেষেও ১২ দিনের মতো সময় থাকবে। দ্রুত এই ফলাফল থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তারা জানে, বিশ্বকাপে দল ভালো করলে এটা হবে অতীত স্মৃতি।'
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজের পর প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। আগামী ৮ জুন ডালাসে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লড়বে তারা। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ গুছিয়ে উঠতে পারবে বলে প্রধান নির্বাচকের বিশ্বাস, 'আমরা সময় পাব। প্রস্তুতি ম্যাচও খেলব। প্রত্যেক খেলোয়াড়, দল, দেশ, মানুষ আশা রাখছে দল যেন ভালো করে। এই প্রত্যাশা থাকবে। বিপুল সংখ্যক দর্শক অন্তঃপ্রাণ। অনেকেই সাংঘাতিকভাবে হতাশ। পারফরম্যান্সও করেছে হতাশাজনক।
'আমার বিশ্বাস, যে কয়দিন ট্রেনিংয়ের সুযোগ পাব, সাথে দুটি ওয়ার্ম আপ ম্যাচ, সেখানে বিশ্বকাপের উইকেটে খেলার সুযোগ পাব। আমার বিশ্বাস তারা আস্থার জায়গা ফিরে পাবে। ফর্ম যথেষ্ট ভালো নাও হতে পারে, তবে আস্থার জায়গা অর্জন করতে পারবে। যদিও প্রতিপক্ষ ভারত অনেক শক্তিশালী। তারপরও যে দুই ভেন্যুতে বিশ্বকাপ ম্যাচ আছে, সেই দুই ভেন্যুতেই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাব। এই ভেন্যুর চেয়ে অনেক ভালো উইকেট হবে। একই পিচে ৫ দিনের মধ্যে কবে তিন ম্যাচ খেলেছি, আমি জানি না। এটা একটা মনস্তাত্ত্বিক চাপ হতে পারে, উইকেট ধীর গতির থাকে।' বলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বাজে পারফরম্যান্সের ব্যাখ্যায় লিপু বলেন, 'বিশ্বকাপের মিশন এখনও শুরু হয়নি। একটা সিরিজ খেলছি। বিশ্বকাপের আলোকেই দল ঘোষণা করেছি। বিস্তর চিন্তাভাবনা করেই দল দিয়েছি। আখাঙ্ক্ষিত ফর্মে সবাই নেই, এটা দুঃখজনক। কাঙ্ক্ষিত ফলাফলও করতে পারছি না। হতাশাজনকই বলব, দুটি ম্যাচেই জেতার মতো অবস্থায় ছিলাম।
'প্রথম ম্যাচে বোলিংয়ের কারণে পিছিয়ে গেছি। শেষদিকে ওভারপ্রতি ১৫ রান করে লাগতো। অন্যতম সেরা বোলাররা ছিল। টি-টোয়েন্টির টুইস্টে আমরা পারিনি। দ্বিতীয় ম্যাচেও ২ উইকেট হারিয়ে এমন অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। শান্ত ও হৃদয় ব্যাটিং করছিল, জয় মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে ৩ বল বাকি থাকতেই পরাজয়। নিশ্চয়ই দুশ্চিন্তার কারণ, হতাশার কারণ।' যোগ করেন তিনি।