হারের জন্য নিজেকে দোষ দিচ্ছেন হৃদয়
নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামের দুর্বোধ্য পিচে খাবি খেয়েছেন প্রায় সব ব্যাটসম্যানই। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এক তাওহিদ হৃদয় ছিলেন সাবলীল। দলকে জয়ের কাছেও নিয়ে গেছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
হৃদয় যখন আউট হলেন তখন বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৮ বলে ২০ রান। তার আউট নিয়েও রয়েছে বিতর্ক, আম্পায়ার্স কলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েছেন তিনি। তবে যেই রান দরকার ছিল, সেটি জাকের আলি আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মিলে তুলে নেবেন, এমন প্রত্যাশা করাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু জয় থেকে ৪ রান দূরে থাকতে থামে বাংলাদেশের ইনিংস৷
শেষ ওভারে দুটি ফুলটস বল পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। অধিনায়ক শান্ত, অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানরা আউট হয়েছেন দৃষ্টিকটুভাবে৷ কিন্তু সব ছাপিয়ে দলের হারের পেছনে নিজেকে কাঠগড়ায় তুললেন হৃদয়, 'ম্যাচ হেরে গিয়েছি আমার আউটে। আমি যদি ওখানে খেলাটা শেষ করতাম, তাহলে ম্যাচটা হারতাম না। তারা (শান্ত-সাকিব) তো অনেক আগেই আউট হয়ে গেছে। আমি তো শেষ পর্যন্ত ছিলাম ওখানে। আমার মনে হয়েছে, আজকের খেলাটা আমিই পারতাম জিতিয়ে দিতে। আমি আউট হয়ে গিয়েছি, পারিনি। এই তো।'
এই ম্যাচে আম্পায়ারদের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত বিতর্কিত ছিল৷ এমন ম্যাচে যেখানে একটি রানও গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে বাংলাদেশ বঞ্চিত হয়েছে নিশ্চিত চার রান থেকে৷ এছাড়া ওয়াইড বলও আম্পাররা দেননি। যা নিয়ে হৃদয়ের বক্তব্য, 'সত্যি বলতে, সেটি ভালো সিদ্ধান্ত ছিল না। টাইট ম্যাচে আমাদের জন্য ভালো কিছু ছিল না সেটি। আমার মতে, আম্পায়ার আউট দিয়েছেন, কিন্তু আমাদের জন্য বিষয়টা কঠিন ছিল। ওই চারটি রান পেলে ম্যাচের চেহারা ভিন্ন হতে পারত। আমার আর কিছু বলার নেই। নিয়ম তো আইসিসি করেছে, এটা তো আসলে আমাদের হাতে নেই। কিন্তু ওই সময় ওই চারটি রান খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমাদের জন্য।'
হৃদয় নিজেও আউট হয়েছেন আম্পায়ার্স কলেই। অর্থাৎ, তাকে আউট না দিলে দক্ষিণ আফ্রিকা রিভিউ নিলেও বেঁচে যেতেন হৃদয়৷ নিজের আউট নিয়ে তিনি বলেন, 'আমি মনে করি যে আম্পায়ার কল দিয়েছেন, আম্পায়ার কল দিতেই পারেন। তাঁরাও মানুষ, ভুল হতেই পারে। কিন্তু আমাদের আরও দু-একটি ওয়াইড ছিল, যেগুলো ওয়াইড দেননি। এখানে এ রকম ভেন্যুতে খেলা, যেখানে রান হচ্ছে না, লো-স্কোরিং ম্যাচ হচ্ছে, সেই জায়গায় একটি-দুটি রানও অনেক বড় ব্যাপার।'
হৃদয় এরপর যোগ করেন, 'আমি মনে করি, ওই চারটি রান বা দুটি ওয়াইড খুব ক্লোজ কল ছিল। এমনকি আমার আউটও আম্পায়ার্স কল ছিল। আমার কাছে মনে হয়, এই জায়গাগুলোয় উন্নতির সুযোগ আছে। আইসিসি যে নিয়ম করেছে, এটাতে তো আমাদের হাত নেই। আমার মনে হয়, যেটা হয়েছে, হয়ে গেছে।'